একনেকে ৭৯৬ কোটি টাকার চার প্রকল্প অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মৌজা  প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিংসহ চার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬২৩ কোটি ৬৫ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ১৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা ডিজিটাল মাধ্যমে গণভবন থেকে ওই বৈঠকে অংশ নেন সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। গতকালের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি বলেন, শুধু মেডিকেল বর্জ্যই নয়, সব ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জোরদারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে বাস, নৌ, বিমান বা যেকোনো স্টেশনের বর্জ্য অপসারণ এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনা করতে হবে। কাজে যেসব সংস্থা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প- নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন দিতে গিয়ে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌপথের বর্জ্য অপসারণে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করবে। কৃষিজমি নষ্ট করে যেখানে সেখানে শিল্প স্থাপন করা যাবে না। অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপন করতে হবে। সেখানে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, রাস্তাসহ সব ধরনের সুবিধা রয়েছে। সময় প্রধানমন্ত্রী নদীর পার দখলমুক্ত করার পাশাপাশি নদীকে কচুরিপানামুক্ত করে ড্রেজিংয়ের নির্দেশনাও দেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প- নির্মাণ প্রকল্পের বিদেশ সফরের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব ছিল সাড়ে কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট সদস্য সেটি কমিয়ে ৭০ লাখ টাকা করেছেন। আমরা সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই বিদেশ সফরের ব্যয় কমাচ্ছি। পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতেই বিদেশ সফর ব্যয় কমানো হচ্ছে।

ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গ্রামে যত মামলা, হাঙ্গামা, খুনখারাবি তার বেশির ভাগই হয় জমিকেন্দ্রিক। ডিজিটাল ভূমি জোনিং হলে সমস্যা দূর হবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের উৎপাত কমে যাবে। তাছাড়া জোনিং হলে জমির চরিত্র কী তা সহজেই জানা যাবে। জমি খাস, অর্পিত, আবাদি নাকি জলাভূমি তার সবই সহজে জানতে পারা যাবে।

গতকাল একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প- নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। মৌজা পটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এছাড়া ভৈরব নদ পুনঃখনন প্রকল্পের ব্যয় ২৩৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সেনবাগ সোনাইমুড়ি উপজেলার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে খাল পুনঃখনন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

গতকালের সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) . শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গীস, পরিসংখ্যান তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী আইএমইডির সচিব উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন