২০১৯-২০ মৌসুম

ইউক্রেনের সূর্যমুখী তেল রফতানিতে ১০% প্রবৃদ্ধি

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রতি বছর আগস্ট ইউক্রেনে সূর্যমুখী তেলের নতুন বিপণন মৌসুম শুরু হয়। চলে পরের বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেই হিসাবে দেশটিতে সূর্যমুখী তেলের ২০১৯-২০ মৌসুম একেবারে শেষলগ্নে রয়েছে। এবারের মৌসুমে দেশটি থেকে পণ্যটি রফতানিতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে। ইউক্রেনের ন্যাশনাল সান অয়েল প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স সাকসেসফুল ফার্মিং।

সূর্যমুখী তেল উৎপাদনকারী রফতানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় ইউক্রেনের অবস্থান শীর্ষে। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শেষ হতে যাওয়া ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুমে ইউক্রেন থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৬৬ লাখ ৮০ হাজার টন সূর্যমুখী তেল রফতানি হয়েছে, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।

কৃষিপণ্যবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এপিকে-ইনফর্মের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুমের শেষ ভাগে এসে ইউক্রেনে সূর্যমুখী তেলের রফতানিমূল্য বাড়তির দিকে রয়েছে। সেপ্টেম্বর দেশটিতে ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) চুক্তিতে প্রতি টন সূর্যমুখী তেলের সর্বোচ্চ রফতানিমূল্য ৯৫০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটিতে পণ্যটির রফতানিমূল্য টনে ৭০-৯০ ডলার বেড়েছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুমের শেষভাগে এসে ইউক্রেনে সূর্যমুখী বীজের আবাদ সংগ্রহ কমে এসেছে। এর প্রভাব পড়েছে সূর্যমুখী তেলের বাজারে। কাঁচামাল সংকটের কারণে চাঙ্গা হতে শুরু করেছে পণ্যটির বাজার পরিস্থিতি।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাণিজ্য কৃষিবিষয়ক মন্ত্রী ইওর পেত্রাস্কোভ জানান, ২০১৯ সালে ইউক্রেনে সব মিলিয়ে কোটি ৫৩ লাখ টন সূর্যমুখী বীজ উৎপাদন হয়েছিল। চলতি বছর দেশটিতে সূর্যমুখী বীজ উৎপাদন কমে দাঁড়াতে পারে কোটি ৪০ লাখ টনে। সেই হিসাবে প্রতিকূল আবহাওয়ার জের ধরে এক বছরের ব্যবধানে ইউক্রেনে সূর্যমুখী বীজ উৎপাদন কমতে পারে ১৩ লাখ টন, যা বছরের বাকি সময়ে দেশটিতে সূর্যমুখী তেলের দাম বাড়তির দিকে রাখতে পারে।

এদিকে বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বিদায় নিতে যাওয়া ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুমে ইউক্রেন থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে লাখ ৩৫ হাজার টন সয়াবিন তেল এবং লাখ ৮৪ হাজার টন সরিষা তেল রফতানি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন