পর্যালোচনা

পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি একই চক্র আর কত

রুশাদ ফরিদী

গত বছর পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির ভয়াবহ স্মৃতির ধাক্কা বাংলাদেশের জনগণ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। গত বছর পেঁয়াজের কেজি যখন বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ মাত্রা অতিক্রম করে ২৫০-৩০০ টাকা হয়ে যায়, সেটি খানিকটা কিংবদন্তির পর্যায়ে চলে যায়। সেই সময় পেঁয়াজ নিয়ে নানা রকম গল্প বাজারে চালু হয়েছিল। যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ বলছিলেন পেঁয়াজ কাটার পর যে রকম চোখে পানি আসে, ঠিক তেমনি পেঁয়াজ কেনার আগেও পানি পড়ছে। আবার কেউ কেউ বাসায় বেড়াতে যাওয়ার সময় রসগোল্লা না নিয়ে পেঁয়াজ নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ এই দামি বস্তুটি পেয়ে গৃহকর্ত্রী নিশ্চয়ই বেশ খুশি হবেন। আরেকজনের সরস মন্তব্য ছিল, পেঁয়াজ কিনে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় প্রচণ্ড আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে ঈদানীং। এই বুঝি ছিনতাইকারী আক্রমণ করে পেঁয়াজ ছিনিয়ে নিল।

গত বছরের পেঁয়াজের দামের সেই ধুন্ধুমার অবস্থা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বছর পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি ঝটকা এই করোনাকালেও আবার এসে হাজির। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই বাজার হালকা-পাতলা গরম হচ্ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন ভারত সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ভারতীয় নিষেধাজ্ঞা নতুন কিছু নয়। গত বছর সেপ্টেম্বরের ২৯ তারিখেও তা- হয়েছিল। এর আগে ২০১৭ ২০১৩ উচ্চ রফতানি মূল্য নির্ধারণ থেকে নিষেধাজ্ঞা সবই ঘটেছিল। এবারও তা- ঘটতে যাচ্ছে, তা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই জানতেন আর সেটা বোঝা গেছে যখন তারা স্বাভাবিকের তুলনায় পেঁয়াজের জন্য এলসি সময়ে অনেক বেশি করে খুলেছেন। কিন্তু সরকার বা প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হলো, তারা আকাশ থেকে পড়েছে ভারতের এই সিদ্ধান্তে। যাই হোক, সে প্রসঙ্গে পরে আসছি।

সেপ্টেম্বরের শুরুতে স্থানীয় পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ৫০ টাকার নিচে। এর মধ্যে ১৩ তারিখ ভারতে রফতানি নিষিদ্ধ ঘোষণার পর সেটি হয়ে যায় ৯০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। এর পরে ভারত আগে এলসি করা পেঁয়াজ ছাড় দেবে খবরে দাম কিছুটা কমে এলেও বাজারে এখনো পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০-৯০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।

বাংলাদেশের অবস্থা বিবেচনার আগে ভারত কী কারণে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়, সেটি বোঝা দরকার। এটি শুধু সেখানে আবহাওয়া বা বৃষ্টিপাতজনিত কারণে পেঁয়াজের ফলন কম হওয়ায় মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা তা নয়। ভারতের পেঁয়াজের ব্যাপারে এই স্পর্শকাতরতার কারণ পেঁয়াজের মূল্যের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির পারদ ওঠানামার ঘনিষ্ঠ সংযোগ।

পেঁয়াজ ভারতে এক ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য। ভারতের অনেক প্রদেশ যেমন মহারাষ্ট্রে অন্য শাকসবজি কিনতে না পারলেও রুটি আর পেঁয়াজ সহযোগে খেয়ে নেয় অনেকে। এটা ঠিক যে ভারতের আরো অনেক অঞ্চল আছে, যেখানে পেঁয়াজ তেমন একটা জনপ্রিয় নয়, যেমন দক্ষিণ কিংবা পূর্ব ভারত। কিন্তু পেঁয়াজ খুবই জনপ্রিয় উত্তরের প্রদেশগুলোয়, যেখানে জনসংখ্যা অনেক বেশি এবং বেশিসংখ্যক সংসদ সদস্য সেখান থেকে নির্বাচিত হন। তাই রাজনীতির মাঠে এসব প্রদেশ প্রভাবশালী এবং পেঁয়াজের ভূমিকা খাদ্যাভ্যাসে অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য।

ভারতের রাজনীতিতে পেঁয়াজের অসীম গুরুত্ব বোঝাতে প্রায়ই ১৯৮০ সালের নির্বাচনের কথা বলা হয়। নির্বাচনকে কেউ কেউপেঁয়াজ নির্বাচননামেও অভিহিত করেন। নির্বাচনে ইন্ধিরা গান্ধীর কংগ্রেস বিশাল জয়লাভ করে, ইন্দিরা গান্ধীর বাবা জওহরলাল নেহরু ১৯৫২ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক হিসেবে নির্বাচনে জেতার পর এটাই ছিল সবচেয়ে বড় জয়। যেখানে ইন্দিরা গান্ধীর দল পায় ৪০০-এর কাছাকাছি সিট, সেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেয়ারটেকার প্রাইম মিনিস্টার চরণ সিংয়ের লোকদল পায় মাত্র ৩৯টি সিট। ইন্দিরা গান্ধী আবার ক্ষমতায় আসতে পারেন। ইন্দিরা গান্ধীর এই ক্ষমতায় ফিরে আসার সবচেয়ে বড় কারণ ছিল তখন পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে জনমনে তীব্র অসন্তোষ। নির্বাচনী প্রচারণায় তখন ইন্দিরা গান্ধী পেঁয়াজের মালা পরে আসতেন এবং তার অনলবর্ষী ভাষণের একটা বড় অংশে থাকত পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে তত্কালীন সরকারের চরম ব্যর্থতার কথা।

এরপর ১৯৯৮ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে দিল্লি আর রাজস্থানে অটল বিহারি বাজপেয়ির বিজেপি সরকারের পতন ঘটে সেই একই কারণে। সফল নিউক্লিয়ার বোমা পরীক্ষার দামামা দিয়ে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির ঝাঁজ বিজেপি চাপা দিতে ব্যর্থ হয়। ভারতের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের কাছে পেঁয়াজের গুরুত্ব বোঝাতে পরিকল্পনা কমিশনের একজন সদস্য আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগেই বলেছিলেন, ‘শুধু পেঁয়াজের দাম দিয়ে ভারতের সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফীতি কী সেটা বোঝে। কেউ যদি পেঁয়াজ কিনতে পারে তাহলে তাকে গরিব বলা যাবে না। তাই ভারতের অনেক সরকারই এই পেঁয়াজের কারণে ভাজা ভাজা (ডিপ ফ্রায়েড) হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো হবে।তাই ভারত সরকার পেঁয়াজের দামের ব্যাপারে সিঁদুরেমেঘ দেখা ঘরপোড়া গরুরমতো আচরণ করবে একেবারেই অস্বাভাবিক নয়।

এদিকে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ভারতের মতো রাজনীতির ক্ষেত্রে এতটা স্পর্শকাতর না হলেও এটি একটি উল্লেখযোগ্য নিত্যপণ্য, এতে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের নিজস্ব উৎপাদনের পর চাহিদার ঘাটতি মেটাতে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, তার বেশির ভাগ ভারত থেকে আসে। ভারত বিশ্বের পেঁয়াজ উৎপাদনের এক-পঞ্চমাংশের বেশি উৎপাদন করে। আর এই উৎপাদনের ৫০ শতাংশের বেশি মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক আর গুজরাট এই তিনটি রাষ্ট্রে হয়। এই অঞ্চলগুলোয় অতিরিক্ত বৃষ্টি, খরা ইত্যাদি সমস্যা হলেই পেঁয়াজের ফলন ব্যাহত হয়। ফলে বাজারে সরবরাহের ঘাটতি তৈরি হয়। পেঁয়াজের দাম ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে বাড়তে থাকে। তখন ভারত সরকার ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়ে হয় পেঁয়াজের রফতানি মূল্য উচ্চমূল্যে বেঁধে দেয় নয়তো একেবারেই রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ বেশি থাকে, ফলে দাম যতটা বাড়ার কথা ততটা বাড়ে না।

কিন্তু পেঁয়াজসংক্রান্ত নীতি খোদ ভারতেই বেশ সমালোচিত। যখন ভারত কাজ করে তখন তাতে সাধারণ ক্রেতারা বেশ উপকৃত হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হন পেঁয়াজ উৎপাদনকারীরা। একটা খবরে দেখছিলাম সে রকম একজন পেঁয়াজচাষী বেশ ক্ষোভের সুরেই বলছিলেন, ফলন ভালো হলে যখন পেঁয়াজের দাম অনেক কমে যায় তখন তো কেউ আমাদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনে না।

যাই হোক, সেটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনার সমস্যা। কিন্তু এতে বাংলাদেশ যে সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেটি হলো সাধারণ ক্রেতাদের উচ্চমূল্যে পণ্যটি ক্রয় করতে হয়। এটি উচ্চবিত্তের গায়ে তেমন কোনো আঁচড় না কাটলেও নিম্নমধ্যবিত্ত বা যারা ছোটখাটো ভাতের হোটেল, রেস্টুরেন্ট চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, তাদের জন্য বাজেটের ওপর এক বিশাল চাপ। তাই সরকারকে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু পেঁয়াজের মূল্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে এত বছর পরেও সরকারি পর্যায়ে কোনো সুচিন্তিত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যায় না; বরং যা দেখা যায় তা অনেকটা রকম:

প্রথম পর্যায়ে দেখা যায় যে ভারতের সিদ্ধান্তে মন্ত্রীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। ভারত এটা না করলেও পারত রকম একটা অভিমানী ভাব। এই মন খারাপ ভাব কাটিয়ে উঠেই তারা এরপর পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন অজুহাতে ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা করা হয়। এর পরেও যখন দেখা যায় যে দাম কিছুতেই কমছে না, তখন ঘোষণা দেয়া হয় অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আসছে, কিন্তু সেই ব্যবস্থা নিতে এত দেরি হয় যে লম্বা সময় ধরে বাজারে পেঁয়াজের উচ্চদর অব্যাহত থাকে। এই পেঁয়াজের দাম তখনই কমে আসে যখন নভেম্বরের পরে নতুন পেঁয়াজের ফলন উঠতে থাকে অথবা যখন ভারত তার রফতানি আবার চালু করে।

বছরের পর বছর এই একই নাটক অঙ্কিত হয়ে আসছে বিভিন্নভাবে।

অথচ এত বছর পরেও এই সামান্য বিষয়টি সরকারি পর্যায়ে বোধগম্য হচ্ছে না যে জেল-জরিমানা করে একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হয় বাজারের নিয়মে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বাড়ানোর ব্যবস্থা করুন। দ্রুত দাম কমে না আসার কোনো কারণই নেই। সেই কারণে বাজারে সরবরাহের গতি-প্রকৃতির দিকে খেয়াল রাখা বেশ জরুরি। কারণ বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা সরবরাহের গরমিলের কারণে দাম বাড়ে-কমে। মনে রাখতে হবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়ীদের কারসাজি করার সুযোগ অত্যন্ত কম।

এজন্য শুধু পেঁয়াজ কেন, যেকোনো নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হলেই সবসময় ব্যবসায়ীদের পেছনে না লেগে প্রথমেই দরকার চাহিদা জোগানের নির্ভরযোগ্য পরিমাপ। চাহিদা সম্পর্কে ধারণা থাকলে সরকার সেই মতন বাজারে সরবরাহ অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারি যেসব হিসাব দেয়া হয়, তাতে শুভঙ্করের ফাঁকি থেকে যায়। তার একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ দিই।

ডেইলি স্টারে ২০১৭-এর ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে সব মিলিয়ে পেঁয়াজের চাহিদা ২২-২৪ লাখ টন ধরা হয়। আর সেই বছর ১৮ দশমিক ৬৬ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। এই উৎপাদন গত বছরের তুলনায় সোয়া লাখ টনের চেয়ে বেশি। সেই সঙ্গে ১০ লাখ টনের ওপর পেঁয়াজ আমদানিও হয়েছে। তাই কাগজে-কলমে চাহিদার চেয়ে জোগান অন্তত চার লাখ টনের বেশি হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে তো বাজারে পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিকের চেয়ে কমে আসার কথা। কিন্তু দেখা গেল যে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায় সেই বছর। তার মানে এসব তথ্যের মধ্যে কোনো গুরুতর গরমিল রয়েছে।

যেকোনো খাদ্যপণের চাহিদার পরিমাপক বেশ জটিল। অনেক শ্রমসাধ্য নিবিড় গবেষণা ছাড়া সেটি সম্ভব নয়। যেহেতু মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনশীল, তাই সেটি নিয়মিত কয়েক বছর পর হালনাগাদ করার প্রয়োজন হয়। কাজটি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কতটুকু নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে আসছে, সেটি বলা বেশ কঠিন।

অন্যদিকে সরবরাহের বিষয়টি চাহিদা পরিমাপের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম কঠিন। প্রতি অঞ্চলে কী পরিমাণ জমিতে চাষ হচ্ছে, তার একটি সঠিক হিসাব থাকলে এটা থেকে দেশীয় উৎপাদনের একটি ধারণা পাওয়া যায়। আর আমদানির তো একেবারে কাগজে-কলমেই হিসাব থাকে। এজন্য মনে হয় চাহিদার হিসাবেই একটি বিশাল সমস্যা রয়ে গেছে। তাই সরকারের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত শুধু পেঁয়াজ নয়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্যপণ্যের একটি সঠিক চাহিদার হিসাবের নিয়মিত ব্যবস্থা রাখা। শুরু থেকে যদি এই হিসাবটা পরিষ্কার থাকে তাহলে কিন্তু সরকার যথেষ্ট সময় পাবে আগে থেকেই একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য। সেই অনুযায়ী যখনই পেঁয়াজ বা -জাতীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকবে, তখন দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য বহির্বিশ্ব থেকে আমদানি বাড়িয়ে বা অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা থাকলে সেটির মোকাবেলা করতে পারে। কিন্তু আবারো বলছি, সেজন্য দরকার সঠিক তথ্যভাণ্ডার এবং সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে ত্বরিত সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপযুক্ত লোকবল মানসিকতা।

সেই পথে না হেঁটে ভারতের পেঁয়াজের মুখাপেক্ষী হয়ে থেকে, ভারত রফতানি বন্ধ করে দিলে অভিমানী হয়ে মন খারাপ করলে ফি বছর পেঁয়াজের দামের ঝাঁজে আমরা খাবি খেতেই থাকব। অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কিন্তু আমাদের হাতেই আছে। আমরা সেই পথে কবে যাব?

 

রুশাদ ফরিদী: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন