৬০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে এক্সিম ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

৬০০ কোটি টাকার মুদারাবা পারপেচুয়াল বন্ড বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এ বন্ড ইস্যু করবেন তারা। অ্যাডিশনাল টিয়ার-ওয়ান মূলধন সংগ্রহের লক্ষ্যে ব্যাংকটি এ বন্ড ইস্যু করছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) এক্সিম ব্যাংকের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা, আগের হিসাব বছরে একই সময়ে যা ছিল ৫৬ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ইপিএস হয়েছে ৯৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩১ পয়সা। ৩০ জুন ব্যাংকটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬৭ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৬৭ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৯ টাকা ৯৮ পয়সা।

ডিএসইতে আজ এক্সিম ব্যাংক শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১১ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এক্সিম ব্যাংক।  ২০১৭ হিসাব বছরে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।

২০০৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সিম ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৪১২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ব্যাংকটির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ২৭, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক ২৫ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন