সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

জরুরি বিভাগ চালুর দাবিতে অবরুদ্ধ তত্ত্বাবধায়ক

বণিক বার্তা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। তারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলামসহ অন্য সব চিকিৎসককে প্রায় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করেন। সময় তারা হাসপাতালের কম্পিউটারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাংচুর করে বলে অভিযোগ করেন তত্ত্বাবধায়ক।

ব্যাপারে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের দিয়ে নারী চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করেন। পরে উভয় পক্ষের আলোচনায় শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কভিডের পাশাপাশি নন-কভিড চিকিৎসাসেবা জরুরি বিভাগ চালুর দাবিতে তিন কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনরতদের শান্ত করেন।

শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মো. রফিকুল মেহেদী মো. হুমায়ুন জানান, ২০১৪-১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে এতদিনেও জরুরি বিভাগ চালু করা হয়নি। ফলে ইন্টার্ন শেষ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া সাতক্ষীরার ২২ লাখ মানুষ জরুরি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দাবি নিয়ে তারা বারবার দেনদরবার করেও কোনো ফল পায়নি বলেও জানান।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আনিসুর রহিম জানান, জরুরি বিভাগ ছাড়া কোনো হাসপাতাল হতে পারে না। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আন্দোলন যুক্তিসংগত।

তিনি বলেন, সাতক্ষীরার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে পাঁচ বছর আগে। কিন্তু জরুরি বিভাগ ছাড়াই এটি আংশিকভাবে চালু করা হয়। জরুরি বিভাগ চালু না হওয়ায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি জেলার সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এদিকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি জরুরি বিভাগ চালুর ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বারবার লেখালেখি করছেন। কিন্তু চিকিৎসক অন্যান্য জনবল সংকট থাকায় জরুরি বিভাগ চালু করা যাচ্ছে না। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের সব কর্মচারীকে গেটের বাইরে বের করে দিয়ে কলাপসিবল গেট আটকে দেন। সময় তারা উত্তেজিত হয়ে কয়েকটি কম্পিউটার ছুড়ে ফেলে দেন মেঝেতে। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষোভ অবরোধ বহাল রাখার ঘোষণা দেন। বিষয়ে আজ সকালে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধায়ক এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে এক সভা আহ্বানের মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।

ব্যাপারে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাক্তার কাজী মো. হাবিবুর রহমান জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগ চালুর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন শুনেছি। তবে এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জনবল সংকট। সমস্যা সমাধান হলে জরুরি বিভাগ চালুসহ অন্যান্য সমস্যাও পর্যায়ক্রমে সমাধান হয়ে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন