ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১

উপনির্বাচন ১২ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-১৮ সিরাজগঞ্জ- আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ১২ নভেম্বর। গতকাল নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে ইসি সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর দুই নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, দুই নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীরা ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করতে পারবেন। ১৫ অক্টোবর বাছাই শেষে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে। ১২ নভেম্বর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) দুই আসনে ভোট হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭১তম সভায় ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়। সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে জুলাই ঢাকা-১৮ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর গত ১৩ জুন সিরাজগঞ্জ- আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, ঢাকা-১৮ সিরাজগঞ্জ- আসন মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হয়েছিল। সংবিধানে আসন শূন্য হওয়ার প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলা আছে। করোনার কারণে সময়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করেনি ইসি। এরপর নির্বাচন কমিশন আরো ৯০ দিন সময় বাড়িয়ে দিয়েছিল। এই ৯০ দিন অতিক্রম করার সুযোগ সংবিধানে দেয়া হয়নি। অতএব নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে।

পাবনা- আসনের উপনির্বাচনে ৬৫ ভাগের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। কম বয়সীদের ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ যখন লাইনে দাঁড়ায় তিনি ভোটার কিনা, তা তো তখন দেখা হয় না। চেক করা হয় না। পাবনা- আসনের উপনির্বাচনে কম বয়সীদের ভোট দেয়া (জাল ভোট) দেয়ার প্রমাণ কেউ নির্বাচন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করলে কমিশন তদন্ত করবে। তিনি বলেন, আইনের সব কিছু তো বাস্তবায়ন করা যায় না। আমার কাছে কাগজপত্রে এসেছে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে।

সচিব বলেন, ভাইরাসের বিস্তার রোধে ভোটের যে স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে, সেগুলো মেনেই ভোটের আয়োজন হবে। আইনশৃঙ্খলার যে বিষয়গুলো আছে, সবই মানা হবে দুই উপনির্বাচনে। কিছু ব্যতিক্রম আছে, সেটা হলো, ঢাকায় আগে নির্বাচন করলে যান চলাচল সব বন্ধ রাখা হতো। এবার তা করা হবে না। বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে যে কোন কোন যানবাহন চলবে, কোন কোন যানবাহন চলবে না।

ইসি সচিব বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদানের ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণের বিষয়টি আইনে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পাশাপাশি ফি নেয়ার বিষয়টি আইনে না থাকলে আইন পরিবর্তনের বিষয়েও চিন্তা করছে ইসি।

মো. আলমগীর বলেন, বিদেশে এনআইডি কার্ড করার ক্ষেত্রে ফি ধরার একটা অনুরোধ ছিল প্রবাসীদের। তারা বলছে, আমরা ফি দিতে রাজি আছি, তবে সেবাটা ভালো মানের হতে হবে। এটা নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছিল কমিশন সভায়। সভায় বলা হয়েছে, নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হলে এটা আইনে থাকতে হবে। কমিশনে দেখতে বলা হয়েছে, আইনে ধরনের কিছু বলা আছে কিনা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন