দুই বছরে ৭৫০ ডলার, আর ১০ বছর কোনো আয়করই দেননি ট্রাম্প!

বণিক বার্তা অনলাইন

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বছর এবং পরের বছর হোয়াইট হাউসে অবস্থানরত অবস্থায় মোট দুই বছরে মাত্র ৭৫০ ডলার আয়কর দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর তিনি ফেডারেল সরকারকে কোনো আয়করই দেননি। 

গতকাল রোববার প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্যই তুলে ধরেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

পত্রিকাটি বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার একাধিক কোম্পানির কর সংক্রান্ত নথিপত্র তাদের হাতে এসেছে। তারা ২০ বছরেরও বেশি সময়ের কর নথি জোগার করেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে, কোম্পানির অব্যাহত লোকসান দেখানো হয়েছে এবং বছর বছর কর ফাঁকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তার স্বভাবসিদ্ধ ভাষায় এ প্রতিবেদনকে ‘ফেক নিউজ’ বলে অভিহিত করেছেন। 

এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আসলে আমি ট্যাক্স দিয়েছি। খোঁজ নিলে আপনি দেখবেন, আমি যখনই ট্যাক্স রিটার্ন দিয়েছি তখনই দীর্ঘ নিরীক্ষার কবলে পড়েছে। তারা আমার রিটার্ন দীর্ঘদিন ধরে নিরীক্ষা করে। 

ট্রাম্পের অভিযোগ, ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস) তার সঙ্গে কখনোই ভালো ব্যবহার করেনি...তারা বরাবরই তার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছে।

সম্পদ ও ব্যবসা বাণিজ্যের তথ্য প্রকাশ না করার কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ১৯৭০ এর দশকের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পই একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি তার কর বিবরণী জনসম্মুখে প্রকাশ করেননি। অবশ্য আইনে এর বাধ্যবাধকতাও নেই।

এবার তার কর ফাঁকি সম্পর্কিত নথি এমন সময় ফাঁস হলো যেখানে কয়েকদিন পরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কে অবতীর্ণ হচ্ছেন তিনি। আর আগামী ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র: বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন