এশিয়া প্যাসিফিকে ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করবে হুয়াওয়ে

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছর হুয়াওয়ে কানেক্ট ইভেন্টে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ভবিষ্যতে ইন্টেলিজেন্ট সোসাইটি তৈরিতে প্রবৃদ্ধিশীল ইকোসিস্টেম গঠন এবং সমস্যাকেন্দ্রিক সমাধান প্রদানের বিষয়টির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। নিয়ে গত শুক্রবার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সাংবাদিকের সঙ্গে এক অনলাইন কনফারেন্সে ডিজিটাল রূপান্তর এতে নিজেদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড।

বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির মতে, তাদের নতুন কাজের ধরনে একটি ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করা হবে, যা বিভিন্ন খাতে কানেক্টিভিটি, কম্পিউটিং, ক্লাউড, এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে একটি সমন্বয় তৈরি করবে।

নিয়ে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে চেন বলেন, চলতি বছর বিশ্বব্যাপী ফাইভজি নেটওয়ার্কের বিস্তার ঘটেছে। এর ফলে কানেক্টিভিটি, কম্পিউটিং, ক্লাউড, এআই অ্যাপ্লিকেশন খাতে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে তৈরি হয়েছে এক ডিজিটাল রূপান্তরের অপার সম্ভাবনা।

তিনি বলেন, পাঁচ টেক ডোমেইনের সমন্বয় পরিবহন, ফিন্যান্স, এনার্জি কিংবা অন্য যেকোনো খাতের কাঠামোকে পুরোপুরি পাল্টে দিতে পারে এবং এটি অঞ্চলের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।

আইডিসি ওয়ার্ল্ডওয়াইড সেমিঅ্যানুয়াল ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্পেন্ডিং গাইড অনুসারে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০১৯ সালে ডিজিটাল রূপান্তর বাবদ ৩৮০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এর বার্ষিক কম্পাউন্ড গ্রোথ রেট ১৭ দশমিক শতাংশ হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।

জে চেন বলেন, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধমান অর্থনীতি। যেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষের আবাসন এবং মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রায় ৫০ শতাংশের অবস্থান অঞ্চলে। আমাদের অঞ্চল শুধু যে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন বিকাশ ঘটানোর জন্য আদর্শ তা- নয়। বরং একটি সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ উপযোগিতা ব্যবহার করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অভূতপূর্ব সুযোগ এখানে রয়েছে।

ডিজিটাল রূপান্তরের গুরুত্বকে অনুধাবন করতে পেরে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণে ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাসেন্ড ইকোসিস্টেম অনলাইন ফোরামে হুয়াওয়ে জানায়, অ্যাপাক অ্যাসেন্ড পার্টনার প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য উদ্ভাবনী টেকসই ইকোসিস্টেম তৈরি করা, যা এরই মধ্যে একশর বেশি আইএসভি পার্টনারের সঙ্গে কাজ করছে এবং অঞ্চলে হায়ার লার্নিং ইনস্টিটিউট এবং সরকারি সংস্থার সঙ্গে ২৭টি এমওইউ করেছে।

উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন টেকসই এআই ইকোসিস্টেম গঠনের উদ্দেশ্যে এপিএসি অ্যাসেন্ড পার্টনার প্রোগ্রাম ১০০টিরও বেশি আইএসভি পার্টনার পেয়েছে এবং সমগ্র অঞ্চলব্যাপী ২৭টির বেশি হায়ার লার্নিং ইনস্টিটিউশন সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন