শীতে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে মুডি’স

বণিক বার্তা ডেস্ক

অক্টোবরে শুরু হচ্ছে শীত মৌসুম। মৌসুমে শীতপ্রধান দেশগুলোয় ঘর গরম করার কাজে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যায়। প্রতি বছরই শীতের আগে বিভিন্ন দেশ জ্বালানি পণ্যটির মজুদ বাড়ানোর চেষ্টা করে। ফলে বাড়ে চাহিদা। একই সঙ্গে চাঙ্গা হয়ে ওঠে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। এবারো শীত মৌসুমে প্রাকৃতিক গ্যাসের বৈশ্বিক চাহিদা বাড়বে। ফলে করোনাকালীন ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে পারে প্রাকৃতিক গ্যাসের বাজার পরিস্থিতি। বাড়তে পারে দাম। মার্কিন ক্রেডিট রেটিং প্রতিষ্ঠান মুডি এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির এক নোটে বলা হয়েছে, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (২৭ দশমিক শূন্য ৯৬ ঘনমিটার) প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম রয়েছে ডলার শূন্য সেন্ট। চলতি শীত মৌসুমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ডলারে উন্নীত হতে পারে। আগামী বছরের শুরুর দিকেও জ্বালানি পণ্যটির সর্বোচ্চ দাম ডলারের আশপাশে থাকতে পারে।

শীত মৌসুমে এশিয়া ইউরোপের দেশগুলোয় প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়। সময় দুই অঞ্চলের দেশগুলো পাইপলাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস সমুদ্রপথে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়িয়ে দেয়। শীত যত বেশি পড়ে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদাও তত বাড়ে। এবারের শীত মৌসুমে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায় এলএনজি আমদানি রেকর্ড ছুঁতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে মুডিস।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) জানিয়েছে, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের উত্তোলন ২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো কমে আসতে পারে। আগামী বছরও দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির উত্তোলনে মন্দা ভাব বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মন্দা ভাব এবারের শীতে প্রাকৃতিক গ্যাসের বাড়তি চাহিদা সামাল দিতে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রফতানি খাত আগে থেকেই তুমুল প্রতিযোগিতার মুখে রয়েছে। ফলে উত্তোলন কমে আসার বিপরীতে চাহিদা বাড়লে বিদ্যমান প্রতিযোগিতা আরো কঠিন হতে পারে। মুডি বলছে, সম্ভাব্য পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।

প্রতিষ্ঠানটির নোটে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম তুলনামূলক কম রয়েছে। আগামী বছর নাগাদ জ্বালানি পণ্যটির দাম খুব একটা বাড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে। এটা ২০২১ সাল নাগাদ প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে চ্যালেঞ্জের জন্ম দিতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন