তিউনিসিয়ার পর্যটনে ভয়াবহ আঘাত হেনেছে মহামারী

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাস সারা বিশ্বের মতো ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে তিউনিসিয়ার পর্যটন খাতেও। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনার কারণে পর্যটন খাত কার্যত ভেঙে পড়েছে। খাতটি থেকে আয় কমে গেছে ৬০ শতাংশ। একই সঙ্গে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দেশটির আবাসিক হোটেলগুলোর বড় একটি অংশ চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। খবর এএফপি।

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে পর্যটন। দেশটিতে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের উেসর জাতীয় জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) অবদান ১৪ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছর কভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে পুরো খাত অভাবনীয় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে সামগ্রিক পর্যটন-সংক্রান্ত অর্থনেতিক কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে।

তিউনিসিয়ার পর্যটনমন্ত্রী হাবিব আম্মার সাংবাদিকদের বলেন, চলতি বছর এখন পর্যন্ত পর্যটন কার্যক্রমে ৬০ শতাংশের মতো পতন হয়েছে। পুরো বছরে পতন ৭০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। চলতি বছর পর্যটন খাত থেকে তিউনিসিয়ার এখন পর্যন্ত আয় হয়েছে মাত্র ১৫৬ কোটি দিনার বা ৫৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এক্ষেত্রে হোটেলে পর্যটকদের অবস্থান কমেছে ৭৯ দশমিক শতাংশ।

বিষয়ে দ্য ফেডারেশন অব তিউনিসিয়ান হোটেলসের সভাপতি খালেদ ফাখফাখ বলেন, একবারেই বিপর্যয়কর না হলেও বর্তমানে পর্যটনের অবস্থা খুবই খারাপ। কভিড-১৯-এর কারণে এখন পর্যন্ত দেশের ৬০ শতাংশ হোটেল খোলেনি। সবচেয়ে বড় শঙ্কার বিষয় হলো, এসব হোটেল আর কখনো না- খুলতে পারে।

তিউনিসিয়া মহামারীর আগে থেকেই উচ্চ বেকারত্ব সমস্যায় ভুগছে। এখন পর্যটন খাত ঘুরে না দাঁড়ালে বেকারত্বের হার আরো বাড়বে। ভূমধ্যসাগরীয় কোটি ১০ লাখ মানুষের দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৯১ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৯০ ছাড়িয়ে গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন