এক মাস কারখানা বন্ধ রাখবে রিং শাইন টেক্সটাইলস

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিদেশী ক্রেতাদের কাছ থেকে ক্রয়াদেশ কমে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এছাড়া বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানিতেও তৈরি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। একদিকে ক্রয়াদেশে পতন, অন্যদিকে আমদানিকৃত কাঁচামালের স্বল্পতা- এ দুইয়ের প্রভাবে এক মাসের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত কোম্পানিটির কারখানার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ ইপিজেড লেবার ল’-২০১৯-এর সেকশন ১১ অনুযায়ী এ লে-অফের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২৬ অক্টোবর থেকে কারখানার স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে বলে কোম্পানিটি স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়েছে।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) রিং শাইন টেক্সটাইলসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৯ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৯ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৩ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭১ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে রিং শাইন টেক্সটাইলস। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৯৯ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৪ টাকা ৮৮ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৩ টাকা ১৭ পয়সা।

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর দেশের উভয় পুঁজিবাজারে রিং শাইন টেক্সটাইলসের শেয়ার লেনদেন শুরুহয়। পূর্ব এশীয় উদ্যোক্তাদের কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছে। রিং শাইন টেক্সটাইলসের অনুমোদিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি ৩১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২০৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ৫০ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৩। এর মধ্যে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২০ দশমিক ৩৫ ও বাকি ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

ডিএসইতে আজ কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৭ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২১ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন