মানুষের মৌলিক স্বাস্থ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য

দেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি হাসপাতাল ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেড। প্রায় দেড় দশক ধরে দক্ষতার সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে এরই মধ্যে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে ইউনাইটেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। নভেল করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলাসহ স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক দিক নিয়ে সম্প্রতি বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেছেন ইউনাইটেড হসপিটালের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফয়জুল্লাহ ওয়াসিফ

ইউনাইটেড হসপিটাল ১৪ বছর অতিক্রম করেছে। লক্ষ্যমাত্রার বিবেচনায় এখন কোন অবস্থানে আছে হাসপাতালটি?

ইউনাইটেড হসপিটাল ইউনাইটেড গ্রুপেরই একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। গ্রুপের বহুমাত্রিক ব্যবসার ধরনের দিকে যদি আপনি নজর দেন তাহলে দেখবেন, ইউনাইটেড গ্রুপ মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে তাদের সব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যেমন শিক্ষার জন্য স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সিং কলেজ আছে। গত বছর থেকে মেডিকেল কলেজও চালু হয়েছে। ইউনাইটেড ট্রাস্টের অধীনে অনেকগুলো স্কুল-কলেজ মাদ্রাসাকেও সহায়তা করা হচ্ছে। রিটেইল ব্যবসায় তাদের ইউনিমার্ট আছে। এছাড়া স্বাস্থ্য খাতে এখন ট্রাস্টের অধীন সাত-আটটি ছোট-বড় হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে। সেই বিবেচনায় বলতে পারেন মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানোর বিষয়টি মাথায় রেখেই ইউনাইটেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। ইউনাইটেড হসপিটালের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, নিয়তের বা ইনটেনশনের জায়গায় আমরা শতভাগ সফল একটি প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের যে চিন্তাভাবনা বা নিয়ত নিয়ে হাসপাতালের যাত্রা হয়েছিল, সেখানে ছাড় দেয়ার কোনো অবকাশই নেই এবং হয়নি। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে ক্রমাগত মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা বা এফোর্টের জায়গাতে আরো ভালো করার সুযোগ ছিল কিনা, সেখানে বলব, অবশ্যই সেই সুযোগ আছে এবং থাকবে।

কভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আপনারা নিজেদের কীভাবে প্রস্তুত করলেন?

কভিড একটা বিশেষ পরিস্থিতি, বিশ্বের সবার মতো আমরা কেউই এটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। অনেক উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশও হিমশিম খেয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় আমরাও আসলে বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কীভাবে এটিকে ম্যানেজ করব। তবে আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শিখতে চেষ্টা করেছি। বিভিন্নভাবে দেশে-বিদেশে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছি। সারা বিশ্বে কী হচ্ছে সেটা জানার চেষ্টা করেছি এবং শিখেছি। বলতে হবে, সেখানে আমরা কুইক লার্নার ছিলাম এবং যথারীতি সেবা প্রদানের মানসিকতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সরকারি-বেসরকারি সবার সহযোগিতার ফলে (আলহামদুলিল্লাহ) আমরা এখন অনেক বেশি পারঙ্গম আত্মবিশ্বাসী।

আপনি দ্রুততম সময়ে শেখার কথা বললেন। সেটা আসলে কীভাবে সম্ভব হয়েছে?

দেখুন আমরা একের পর এক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করেছি। সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। আমাদের অধিকাংশ কনসালট্যান্টই অভিজ্ঞ। তারা দেশের বাইরের বিভিন্ন ফোরামে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। ফলে আমাদের দ্রুত শেখার কাজটি সহজ হয়েছে। এটা আসলে কারো একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। বলতে পারেন দলগতভাবে কাজ করার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপীও সবাই মডেলেই শিখেছে। এর বাইরে আর কোনো উপায়ও ছিল না। কারণ ভাইরাসটা নিয়ে আমাদের সবারই জানাশোনা কম ছিল। সেখানে নলেজ শেয়ারিং না হলে আমাদের পক্ষেও এভাবে দ্রুত শেখাটা কঠিন হয়ে পড়ত।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতে প্রবৃদ্ধির একটা নিম্নগামী প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। এখন আবার উত্তরণের চেষ্টা চলছে। অবস্থায় স্বাস্থ্য খাতের জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে আপনি মনে করছেন?

সরকার বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা করছে। বেসরকারি খাতও সেখানে এগিয়ে আসছে। কিন্তু এটা শুধু সরকারের একার কাজ না, আবার বেসরকারি খাতও নিজেরা এটার সমাধান করতে পারবে না। এখানে একটা সমন্বিত প্রয়াস দরকার। সরকার নীতি প্রণয়ন করে, অবকাঠামো তৈরি করে দেবে এবং সেটার চেষ্টা সবসময় সরকার করছে। কিন্তু কভিড আসলে অনেক হিসাব-নিকাশ উল্টে দিয়েছে। আমাদের এখন একেবারে নতুন করে ভাবতে হবে। উন্নত দেশগুলোকেও আবার ড্রয়িং বোর্ডে ফিরে যেতে হচ্ছে। কারণ কভিডের জন্য কেউই প্রস্তুত ছিল না। আমাদের আগে থেকে হিসাব-নিকাশ করে কোথায় কী প্রয়োজন হবে, সে অনুপাতে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট থেকে শুরু করে অবকাঠামোকে সাজাতে হবে এবং এভাবেই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলতে হবে। এখানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগ খুবই জরুরি। অনেকের সুযোগ থাকলেও এতদিন খাতে বিনিয়োগে তারা আগ্রহী ছিল না, এখন সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে সম্ভাবনার জায়গাটা হলো, এখানে প্রচুর লোকের কাজের সুযোগ করে দেয়া সম্ভব। স্বাস্থ্যসেবা খাত দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভবিষ্যতে আরএমজি (তৈরি পোশাক) খাতের মতো বড় একটা খাত হিসেবে অবদান রাখতে পারে। একটা হসপিটালে তিন শিফটে কাজ হয়ে থাকে এবং সব শিফটই চালু রাখতে হয়, কোনো শিফট বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। কাজেই সুদক্ষ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। একেকটা হসপিটাল নিজেই একেকটি ইন্ডাস্ট্রি। যেমন আমাদের ইউনাইটেড হসপিটালেই চিকিৎসক-নার্সসহ হাজার ২০০-এরও অধিক লোক কাজ করে। এটা বলতে বাধা নেই, আমাদের দেশের অনেকেই দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যান। এখন কভিডের কারণে যেহেতু সেই সুযোগ কমে আসছে, সুতরাং এসব রোগীকে উন্নত মানের সেবা দিয়ে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা অর্জন করাতে পারলে তারাও দেশের চিকিৎসাতেই ফিরে আসবেন।

স্বাস্থ্য খাতের রি-ডিজাইনে এখন কী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি?

এখন আমাদের ম্যাক্রো লেভেল প্ল্যানিং দরকার। তার আগে নিরূপণ করতে হবে কোন ধরনের রিসোর্স কী পরিমাণে দরকার। এটা সঠিকভাবে চিহ্নিত করা গেলে প্রাথমিক কাজটি হয়ে যাবে। তারপর করতে হবে অবকাঠামো। দেশের স্বাস্থ্য খাতে যথার্থ দক্ষ লোকের অনেক অভাব আছে। আগে সেখানে মনোযোগ দিতে হবে। কাজেই চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট তৈরি, তাদের প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সব মিলিয়ে দেশের স্বাস্থ্য খাতে প্রচুর জনশক্তি বৃদ্ধি, পাশাপাশি দক্ষ ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা অবকাঠামো তৈরিতে দক্ষতা স্বাস্থ্য খাতে ব্যবহূত কাঁচামাল সুরক্ষাসামগ্রী প্রস্তুতি সুষম বণ্টনে সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রভূত সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ডায়াগনোসিসের ক্ষেত্রে আমাদের স্বাস্থ্য খাতে কি কোনো দুর্বলতা আছে? এক্ষেত্রে আপনারা কী করছেন?

ব্যাপারে ঢালাও কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমি মনে করি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার বিকল্প কিছু নেই। নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে সেই খাতে কম্পিটিশনও বাড়ে, সবার মধ্যে ভালো করার প্রবণতাও তৈরি হয়। কোনো ম্যানুফ্যাকচারার কিন্তু বলতে পারবে না যে তাদের মেশিন শতভাগ এফিশিয়েন্ট। সেখানে কিছু ভুলত্রুটি তো থাকেই। তবে প্রতিযোগিতা বাড়ানো গেলে এখানেও সুফল পাওয়া যাবে। বিশ্বজুড়ে আমরা জানি কভিডের আরটিপিসিআরের রেজাল্টেও ফলস নেগেটিভ ফলাফল আসে, কাজেই এটিও শতভাগ পারফেক্ট রেজাল্ট দিচ্ছে না। সেটা হয়তো সম্ভবও না। এজন্য সবখানেই ডায়াগনোসিসের ক্ষেত্রে একটা ডিসক্লেইমার দেয়া থাকে এবং যেকোনো ইনভেস্টিগেশনের রিপোর্টে সেটিকে সবসময়ই চিকিৎসকের ক্লিনিক্যাল অ্যাসেসমেন্টের সঙ্গে কো-রিলেট করতে বলা হয়। বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের যদি এগোতে হয়, তবে ম্যাক্রো লেভেলে অনেক কাজ করতে হবে। সেখানে অবশ্যই বেসরকারি খাতের অনেক কিছু করার আছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের বাস্তবতা কতটুকু আছে বলে মনে করেন?

অনেকটুকুই সুযোগ আছে, সরকারি বেসরকারি খাতের মধ্যে অনেক আলাপ-আলোচনা বাড়াতে হবে। সরকারি-বেসরকারি দুই খাতের সমন্বয় করা সম্ভব হলে পুরো ব্যবস্থা এগোবে। সরকার অনেক কিছু করার চেষ্টা করছে, সেখানে বেসরকারি খাতকেও হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সরকারের মধ্যে যিনি নীতি প্রণয়নে কাজ করছেন তিনি সবকিছু বুঝবেন এমন কিন্তু না। আবার আমরাও সবকিছু করতে পারব না। বিষয়টি হচ্ছে, আমরা যে কাজটা করব সেটা কতটুকু আন্তরিকতার সঙ্গে করছি। যদি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করা যায়, তাহলে সবকিছু করা সম্ভব। আমরা যে টি বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি, তাতে সফল হয়েছি। সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়গুলো দেখেছে। এর ফলে আমরাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছি। গত বছরেই আমাদের মেডিকেল কলেজের পারমিশন হয়েছেফলে ভালো মানের চিকিৎসক তৈরিতে আমরা ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এভাবে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে আমাদের একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে একযোগে কাজ করার বিকল্প নেই। আমাদের সরকার অংশীদারত্বে কাজ করতে চায়। চট্টগ্রামে আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে একটা চুক্তিও করেছি। সেখানে ৫০০ বেডের হাসপাতালের জন্য রেলওয়ে আমাদের জমি দেবে। অবকাঠামোগত অন্যান্য কাজ করব আমরা। মডেলে কিন্তু অনেক কাজ করা সম্ভব। বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ভালো সাড়া আছে।

আমাদের দেশের রোগীরা বাইরের দেশে স্বাস্থ্যসেবা নিতে যায়। অদূরভবিষ্যতে বাইরের দেশ থেকে বাংলাদেশে রোগী আসতে পারে বলে মনে করেন কি?

আমি তো মনে করি সেটা সম্ভব এবং এটাই হওয়া উচিত। আমরা যদি আমাদের নিজেদের ১৭ কোটি মানুষের জন্য চিন্তা করে একটা দক্ষ আধুনিক হেলথকেয়ার ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে পারি, তাহলে মেডিকেল ট্যুরিজম মাধ্যমে বিদেশ থেকে দেশে চিকিৎসার জন্য রোগী আসবে। এটা একটা বাই-প্রডাক্ট হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমাদের স্বাস্থ্যসেবা খাতের সক্ষমতা বাড়লে দেখা যাবে দেশে মেডিকেল ট্যুরিজমের একটা অপার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে সেজন্য আগে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। সুযোগ আছে, তা কাজে লাগাতে হবে। আগে দেশীয় রোগীদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আমি সেই দিনেরই স্বপ্ন দেখি এবং পরিবর্তনের সূচনা আমাদের হাত ধরে এখনই শুরু হওয়া উচিত।

ইউনাইটেড হসপিটালকে আগামী দিনে কোথায় দেখতে চান?

আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি উন্নত সেবা প্রদান করতে এবং তার ফলাফলও আমাদের হাতে আসছে। এখন আমাদের হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেক বেশি। কেন তারা আসছে? নিশ্চয়ই ভালো সেবা পাচ্ছে বলেই রোগীরা এখানে আসছে। বলতে গেলে আমরা এখন রোগীদের সংকুলান করতে না পারায় অনেক ক্ষেত্রে তাদের ওয়েটিংয়ে রাখতে হচ্ছে। এখন আমরা কভিড, নন-কভিডদুই ধরনের সেবাই একই হাসপাতালে সম্পূর্ণ ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে প্রদান করছি। মানুষ আস্থা রাখতে পারছে আমরা ভালোভাবে সেবা দিতে পারছি বলেই। রোগীদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। হেলথকেয়ারে কিন্তু কোনো মার্কেটিং দিয়ে প্রবৃদ্ধি হয় না। এখানে সেবা দিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হয়। এর বিকল্প কোনো পথ নেই। এখানেই ইউনাইটেড হসপিটাল সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। ইউনাইটেড গ্রুপের আওতাধীন কয়েকটি নতুন হাসপাতালসহ সব মিলে সারা দেশে অচিরেই হাজার ৭০০ বেডের সক্ষমতাসম্পন্ন সেবা পরিচালনা হবে। সেবা উত্তরোত্তর বাড়ানো এবং সেবার মান ধরে রাখতে ইউনাইটেড গ্রুপ ইউনাইটেড হসপিটাল বদ্ধপরিকর। এখানে টিকে থাকার জন্য প্রবৃদ্ধি দরকার ঠিকই, তবে ব্যবসা করাটাই মূল উদ্দেশ্য নয়। মানুষের মৌলিক স্বাস্থ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই আমাদের পথচলা অবিরাম।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন