বিশ্বব্যাংকের সুপারিশ

স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গায় পদক্ষেপ নেয়া উচিত ভারতের

বণিক বার্তা ডেস্ক

যদিও বড়সড় সংস্কারের পথে এগিয়ে ভারত বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। তবে সময় নজর দেয়া দরকার স্থানীয়ভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে। কভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে স্থানীয় অর্থনীতি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য মহামারী চলাকালীন এবং তার পরবর্তীকালে স্থানীয় অর্থনীতিকে ঠিকমতো সহায়তা করাটা জরুরি বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। সম্প্রতি নিজেদের এক ব্লগ পোস্টে সুপারিশ করে শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। খবর ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস।

বিশ্বব্যাংকের মতে, স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তিনটি বিষয়ে জোর দিতে হবে। প্রথমত দেখতে হবে ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলটি কতটা সক্ষম, তা নিজের সুবিধার্থে কাজে লাগাতে। তারপর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ভ্যালু চেইনের একটা সংযোগ স্থাপন করতে হবে। আর ইন্টারনেটবিদ্যুৎ অন্যান্য পরিকাঠামোগত বিনিয়োগ করা, যাতে স্থানীয় ব্যবসায় পরিবেশের উন্নতি ঘটে।

বিশ্বব্যাংকের একটি ব্লগে এক্ষেত্রে ভারতের বেশকিছু বিষয় প্রশংসিতও হয়েছে। যেভাবে নারীদের স্বনির্ভর গ্রুপের (এসএইচজি) মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশনের মাধ্যমে মাস্ক স্যানিটাইজার তৈরি সরবরাহ করা হয়েছে এবং কমিউনিটি কিচেন মারফত খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে, তা প্রশংসার দাবিদার। স্থানীয়ভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ধরা হয়েছে খুবই সংকটজনক নির্ধারক, যা গুণগত দিক থেকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী সময়ে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দরকার নতুন সাহসী ভাবনাচিন্তা; যা নারী, যুব সম্প্রদায় অসংগঠিত কর্মীদের সহায়তা করবে এবং ক্ষুদ্র ছোট উদ্যোগগুলোকে বাঁচানোর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। উল্লেখ্য, চলমান মহামারীতে নারী, যুবক এবং অসংগঠিত শ্রমিকরা রীতিমতো বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন।

পাশাপাশি সুপারিশ করা হয়েছে বিনিয়োগ করতে, যাতে কমিউনিটিভিত্তিক বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি ঘটে এবং কমিউনিটির সঙ্গে ভ্যালু চেইনের সংযোগ স্থাপন করা যায় উৎপাদনশীল পরিকাঠামো গড়া যায়। ব্যবসার পরিবেশ জীবনধারণের উন্নতির জন্য এক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য নেতৃত্বের প্রশিক্ষণে প্রবেশাধিকার সহজ করা জরুরি বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন