নাইজেরিয়ায় গভর্নরের গাড়িবহরে হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০

বণিক বার্তা ডেস্ক

নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এক আঞ্চলিক গভর্নরের গাড়িবহরে জিহাদিদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সূত্র জানায়, বোরনো প্রদেশে স্থানীয় সময় শুক্রবার হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ১২ পুলিশ সদস্য, পাঁচ সেনা সদস্য, সরকার-সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর চার সদস্য এবং নয়জন বেসামরিক মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর এএফপি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবারের ভয়াবহ হামলার পর আশপাশের এলাকা থেকে মোট ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া হামলায় আরো বহু মানুষ আহত হয়েছে। মূলত লেক শাদের বাগা শহরের কাছে বোরনোর গভর্নর বাবাগানা উমারা জুলুমকে বহনকারী গাড়িবহর হামলার শিকার হয়। হামলার পর সন্ত্রাসীরা আটটি গাড়িও নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। এর মধ্যে একটি সাঁজোয়া ব্যক্তিগত গাড়ি, একটি গান ট্রাক ছয়টি স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল (এসইউভি) রয়েছে।

এদিকে দেশটির পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন জিহাদিদের সিকিউরিটি কনভয়ে হামলায় আট পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। এছাড়া সরকার-সমর্থিত মিলিশিয়া সদস্য নিহত হয়েছে তিনজন। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছে আরো ১৩ জন। তবে হামলায় আঞ্চলিক গভর্নর জুলুম অক্ষত ছিলেন। তাকে দ্রুত ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেই শুক্রবার তার গাড়িবহরে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে।

মূলত লেক শাদ ওই অঞ্চলে আইএসের সঙ্গে সম্পর্কিত জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকান প্রোভিন্সের (আইএসডব্লিউএপি) ঘাঁটি রয়েছে। সম্প্রতি গোষ্ঠীটি ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা বৃদ্ধি করেছে। এর আগেও জুলাইয়ে বাগার বাইরে জুলুমের গাড়িবহর হামলার শিকার হয়েছিল। ফলে তিনি ওইবার তার সফর বাতিল করতে বাধ্য হন।

উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায় দীর্ঘকাল ধরেই ধরনের গোষ্ঠীর হামলা সহিংসতা চলে আসছে। এর ফলে অঞ্চটিতে প্রাণ গেছে ৩৬ হাজার মানুষের। এছাড়া ২০ লাখের মতো মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে

যেতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে এসব বাস্তুচ্যুত মানুষ বিভিন্ন শিবিরে অবস্থান করছেন। উপার্জনহীন মানুষগুলোকে খাবারের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার ওপর। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের নিজ আবাসস্থলে ফিরে যেতে উৎসাহ দিলেও তারা নিরাপত্তাহীনতার কারণে সাহস পাচ্ছে না। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন