দেশে কভিড-১৯ শনাক্ত রোগীদের সুস্থ হওয়ার হার বেড়েছে। গতকাল সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা ৩০ দিন আগে ছিল ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এ সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে কভিড-১৯ শনাক্ত হওয়া ৮০ হাজারের বেশি রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ১ হাজার ৯৩২ জন রোগী সুস্থ হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২১ জনের, আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৮৩ জন। এ পর্যন্ত দেশে কভিড-১৯ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৭ জন। আর এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৯৩ জনের। এখন পর্যন্ত সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৩টি ল্যাবে ১২ হাজার ৪৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ১০টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। দেশে এ রোগে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন, নারী সাতজন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, চারজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং সাতজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, দুজন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং একজন করে মোট তিনজন রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৯৩ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৯৪৯ জনই পুরুষ ও ১ হাজার ১৪৪ জন নারী। মৃতদের মধ্যে ২ হাজার ৫৭৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৩৮১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৬১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৯৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১১৮ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ২ হাজার ৫২৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৩৬ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪২৮ জন খুলনা বিভাগের, ১৮৬ জন বরিশাল বিভাগের, ২২৪ জন সিলেট বিভাগের, ২৩৭ জন রংপুর বিভাগের ও ১০৭ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য মতে, বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ২২ লাখ পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯ লাখ ৮৩ হাজারে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৫তম, আর মৃতের সংখ্যায় ২৯তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
