শেরপুরের সেই সিএইচসিপি বরখাস্ত

বণিক বার্তা প্রতিনিধি বগুড়া

বগুড়ার শেরপুরে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী শিশুকে চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়াসহ গ্রাম্য শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার মামলায় অভিযুক্ত সেই সিএইচসিপি কর্মকর্তা (কমিউনিটি হেলথকেয়ার সার্ভিস প্রোভাইডার) মো. মনিরুজ্জামান প্লাবনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার সিবিএইচসির প্রধান কার্যালয়ের লাইন ডিরেক্টরের স্বাক্ষরিত একটি স্মারকপত্রের মাধ্যমে ওই সিএইচসিপি কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে সিবিএইচসির পক্ষ থেকে পাঠানো বরখাস্ত করা সংক্রান্ত আদেশের ওই চিঠি সিএইচসিপি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান প্লাবন হাতে পেয়েছেন বলেও স্বীকার করেন।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল কাদের জানান, অনলাইনের মাধ্যমে সিবিএইচসির চিঠি পেয়েছেন। পরে তার দপ্তর থেকে বরখাস্ত হওয়া ওই সিএইচসিপি কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে

এদিকে ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত হয়ে ১৭ দিন জেলহাজতে থাকলেও কারাবাসের দিনগুলোকে কর্তব্য পালন ধরে নিয়ে কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান প্লাবনকে পুরো মাসের বেতন দেয়া হয়। এমনকি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে সরকারি চাকরিবিধি ভেঙে ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে রক্ষায় নানামুখী চেষ্টা চালান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের। কিন্তু একাধিক গণমাধ্যমে ঘটনার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ প্রচারের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগে শুরু হয় তোলপাড়। ফলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া না হলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই সিএইচসিপি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত আগস্ট উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর দহপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ শিকার হন। কিন্তু ওই গ্রামের প্রভাবশালীরা ধর্ষণের শিকার ওই শিশুকে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে দেয়নি এবং ভুক্তভোগীর পরিবারকে আপসের কথা বলে আইনের আশ্রয় নিতে বাধা দেয়া হয়। এক পর্যায়ে ঘটনাটি থানা পুলিশ জানতে পারেন। পরে ধর্ষণের শিকার ওই প্রতিবন্ধী শিশুটির পরিবার থানায় মামলা দায়ের করে। আর সেই মামলায় আগস্ট গ্রেফতার হন সিএইচসিপি মনিরুজ্জামান প্লাবন। এর পর থেকে ১৭ দিন জেলহাজতে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন