বাড়তি চাহিদায় লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির পথে রোডিয়াম

বণিক বার্তা ডেস্ক

পরিবেশবান্ধব পরিবহন হিসেবে পরিচিত ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরিতে ব্যবহার হয় রোডিয়াম। বিশ্বজুড়ে ইলেকট্রিক গাড়ি শিল্পের দ্রুত বিস্তার ধাতুটির চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে রোডিয়ামের দাম। করোনাকালে দুষ্প্রাপ্যতার বিপরীতে বাড়তি চাহিদা বজায় থাকায় কোনোভাবেই রোডিয়ামের দামে লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ব্যবহারিক ধাতুটির দাম বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। খবর মাইনিংডটকম।

চলতি বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি আউন্স রোডিয়ামের দাম ছিল হাজার ৫০ ডলার। তবে ১০ মার্চ ব্যবহারিক ধাতুটির দাম বেড়ে আউন্সপ্রতি ১৩ হাজার ৮০০ ডলারে উন্নীত হয়। যদিও মার্চের শেষ নাগাদ ফের ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি আউন্স রোডিয়ামের দাম হাজার ৮০০ ডলারে নেমে আসে।

তবে গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি আউন্স রোডিয়ামের দাম ওঠে ১৪ হাজার ৪৯০ ডলারে। ইতিহাসে এটাই রোডিয়ামের সর্বোচ্চ দাম। যদিও বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি আউন্স রোডিয়ামের দাম ছিল ১৪ হাজার ডলার।

প্লাটিনাম প্যালাডিয়ামকে রোডিয়ামের সমগোত্রীয় ধাতু বিবেচনা করা হয়। ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারিতে প্যালাডিয়াম ব্যবহার হয়। শিল্পে বাড়তি চাহিদা ধাতুটির দাম বাড়িয়েছে। একই চিত্র দেখা গেছে রোডিয়ামের ক্ষেত্রেও। ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণ শিল্পে যত প্রসার ঘটেছে রোডিয়ামের বৈশ্বিক চাহিদা ততই বেড়েছে। সে তুলনায় বাড়েনি ধাতুটির প্রাপ্যতা। ফলে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় করোনাকালে আন্তর্জাতিক বাজারে রোডিয়ামের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি রোডিয়াম সরবরাহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটিতে রোডিয়াম দুষ্প্রাপ্য ধাতু হিসেবে বিবেচিত হয়। করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরুর পর দক্ষিণ আফ্রিকার খনিজ কার্যক্রম অনেকটাই সীমিত হয়ে এসেছে। এতে রোডিয়াম আরো দুষ্প্রাপ্য হয়েছে। অন্যদিকে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের বাজারে ধাতুটির চাহিদা বেড়েছে। কেননা পরিবেশ সচেতনতা বেড়ে যাওয়ায় এসব দেশে প্রচলিত জ্বালানি তেল গ্যাসনির্ভর যানবাহনের বদলে পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বাড়তির দিকে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন