আসন্ন তিন টেস্টের হোম সিরিজ সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইন বেধে দিয়েছিল শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। দলের বহরে কতজন থাকতে পারবে এবং শ্রীলংকায় পৌঁছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পালনের বাধ্যবাধকতা ছিল। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে এমন শর্ত মেনে নেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয়া হয়। শর্ত সহজ না করলে সিরিজ বাতিলের হুমকি দেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। এর জবাবে গতকাল বৃহস্পতিবার এসএলসি নতুন প্রস্তাব ও গাইডলাইন পাঠিয়েছে বিসিবিকে। এখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জবাবের অপেক্ষায় রয়েছেন এসএলসির কর্মকর্তারা। আজই তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়ার কথা।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে লংকান দৈনিক মিরর আজ শুক্রবার জানিয়েছে, সিরিজটি বাতিল হবে না এবং পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। এসএলসির এক কর্মকর্তা মিররকে বলেন, ‘আমরা চাই এ সিরিজটি হোক, কেননা এরপরই লংকা প্রিমিয়ার লিগ আসর। অন্যান্য দেশ থেকে খেলোয়াড়রা এই লিগে অংশ নেবে এবং আমরা বিশ্বকে দেখাতে চাই, একটি দলের বিপক্ষে সিরিজটা আমরা কীভাবে আয়োজন করলাম। আমরা স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দিচ্ছি। বাংলাদেশের চেয়ে আমাদের দেশ নিরাপাদ এবং তাদের খেলোয়াড়রাও এখানে নিরাপদ থাকবে। আমরা আজ (শুক্রবার) তাদের জবাবের অপেক্ষায় আছি। নীতিগতভাবে দুই বোর্ড নতুনভাবে তৈরি গাইডলাইনের ব্যাপারে একমত এবং আশাকরি সিরিজটি হচ্ছে।’
আগের সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ দলের শ্রীলংকায় পা রাখার কথা ছিল ২৭ সেপ্টেম্বর। এখন তাদের শ্রীলংকা যাত্রা কিছুটা বিলম্বিত হবে।
এটি করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর দুই দলের জন্যই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ। এ সিরিজ সামনে রেখে সপ্তাহখানেক ধরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দল স্কিল ট্রেনিং করে আসছিল। নিয়মিত করোনা পরীক্ষাও হয়েছে ক্রিকেটারদের। ২৭ জনের মধ্যে পেস বোলার আবু জায়েদ রাহী পজিটিভ হয়েছেন, বাকিরা সবাই নেগেটিভ।
দুই বোর্ডের অনড় অবস্থানের কারণে সিরিজটাই ঝুলেই যাচ্ছিল। তবে এসএলসি গাইডলাইনে নিয়ম খানিকটা শিথিল করায় সিরিজটা আলোর মুখ দেখতে পারে।