করোনার কাছে হার মানলেন এসপি বালাসুব্রাহ্মণ্যম

বণিক বার্তা অনলাইন

করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এসপি বালাসুব্রাহ্মণ্যম। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১টার দিকে চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৫ অগস্ট চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বালাসুব্রাহ্মণ্যম। এক মাস পর ৮ সেপ্টেম্বর নুমনা পরীক্ষার রিপোর্ট করোনাভাইরাস নেগেটিভ আসে। কিন্তু শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাকে ভেন্টিলেটরেই রাখা হয়েছিল।  পরে ভেন্টিলেটরের পাশাপাশি ‘একমো সাপোর্ট’ (কৃত্রিম উপায়ে বাড়তি অক্সিজেন সরবরাহ) দেয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

১৯৪৬ সালের ৪ জুন মাদ্রাসে (অধুনা চেন্নাই) জন্ম হয় এসপি বালাসুব্রাহ্মণ্যমের। ১৯৬৬ সালে ‘শ্রী শ্রী মর্যাদা রামান্না’ নামে একটি তেলুগু ছবিতে প্লেবেকের মাধ্যমে তার সঙ্গীত জগতে প্রবেশ। 

৫০ বছরের ক্যারিয়ারে ছবির জন্য ১৬টি ভারতীয় ভাষায় প্রায় ৪০ হাজার গান গেয়েছেন সুব্রাহ্মণ্যম। হিন্দি, তামিল তেলুগু ছবিতে গান গেয়ে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির প্লেবেক সিঙ্গারের খ্যাতি পেয়ে যান। এক দিনে ২১টি গান রেকর্ড করার ইতিহাস গড়েছেন তিনি। 

বলিউডে সালমান খান-সুব্রাহ্মণ্যম জুটি এক সময় দারুণ হিট ছিল। ১৯৮৯ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবির মাধ্যমে নায়ক হিসেবে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন সালমান। একমাত্র ‘আয়া মৌসম দোস্তি কা’ ছাড়া ছবিতে সলমনের গলায় সবক’টি গানই বালাসুব্রাহ্মণ্যমের গাওয়া। এর মধ্যে যার মধ্যে ‘আতে যাতে’, ‘দিল দিওয়ানা’ এবং ‘মেরে রঙ্গ মে’-র মতো সুপারহিট হয়েছিল। 

১৯৯১ সালে ‘পাত্থর কে ফুল’ ছবিতে সালামনের হয়ে সাতটি গানে কণ্ঠ দেন বালাসুব্রাহ্মণ্যম। এর মধ্যে ‘কাভি তু ছালিয়া লাগতা হ্যায়’ এবং ‘তুমসে জো দেখতে হি প্যায়ার হুয়া’ গান দু’টি সুপার হিট হয়। ওই বছরই ‘সাজন’ ছবিতে এসপিবির গলায় গাওয়া ‘বহুত প্যায়ার করতে হ্যায়’, ‘তুমসে মিলনে কি তামান্না হ্যায়’, ‘পেহেলি বার মিলে হ্যায়’ আজও শ্রোতাদের মনে ভাস্বর। এক সময় এই জুটি অবশ্য ভেঙে যায়। সালমানের ছবিতে কণ্ঠ দিতে থাকেন উদিত নারায়ণ।

এসপি বালাসুব্রাহ্মণ্যমের মৃত্যুতে বলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এআর রহমান, অক্ষয় কুমার, লতা মঙ্গেশকর, মহেশ বাবুসহ অনেকেই শোক প্রকাশ করেছেন। 

সূত্র: বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন