নভেল করোনাভাইরাসের
কারণে বন্ধ
হওয়ার ছয়
মাস পর
অবশেষে সৌদি
আরবে বাণিজ্যিক
ফ্লাইটের অবতরণ
অনুমতি পেয়েছে
বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইনস। আগামী
১ অক্টোবর
থেকে সৌদি
আরবের তিনটি
শহরে বাণিজ্যিক
ফ্লাইট পরিচালনা
করবে বিমান।
বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইনস সূত্রে
এ তথ্য
জানা গেছে।
জানা যায়,
আগামী ১
অক্টোবর থেকে
সৌদি আরবের
জেদ্দা, রিয়াদ
ও দাম্মামে
বাণিজ্যিক ফ্লাইটের
ল্যান্ডিং পারমিশন
পেয়েছে বিমান।
তবে এখনো
ফ্লাইট শিডিউল
ঘোষণা করেনি
বিমান। বিমানের
পক্ষ থেকে
জানানো হয়,
সৌদি আরব
যাওয়ার জন্য
করোনা নেগেটিভ
সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক
ও নমুনা
সংগ্রহের ৪৮
ঘণ্টার মধ্যে
সৌদি আরব
পৌঁছতে হবে।
এজন্য সব
যাত্রীকে ঢাকা
থেকে করোনা
পরীক্ষা করতে
হবে।
এদিকে গতকাল
এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ও প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা
মোকাব্বির হোসেন
জানান, গত
১৮ ও
২০ মার্চের
জেদ্দা এবং
১৮ ও
১৯ মার্চের
রিয়াদের বিমানের
রিটার্ন টিকিটধারী
যাত্রীদের জন্য
বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইনস ২৯
সেপ্টেম্বর ঢাকা-রিয়াদ
ও ৩০
সেপ্টেম্বর ঢাকা-জেদ্দা
রুটে যাত্রীবাহী
ফ্লাইট পরিচালনা
করবে। নতুন
ফ্লাইট অনুমোদন
সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে
অন্য যাত্রীদেরও
বুকিংয়ের জন্য
অবহিত করা
হবে। তাই
অন্য যাত্রীদের
এখনই অযথা
কাউন্টারে ভিড়
না করতে
অনুরোধ করা
যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিমান
উল্লেখ করে,
১৮ ও
২০ মার্চের
জেদ্দা এবং
১৮ ও
১৯ মার্চের
রিয়াদের ফিরতি
টিকিটধারী যাত্রীদের
এ ফ্লাইটে
বুকিংয়ের জন্য
বিমান সেলস
অফিসে টিকিট,
পাসপোর্ট, সৌদি
আরব নির্ধারিত
অ্যাপস/লিংক
থেকে অনুমোদনসহ
২৫-২৬
সেপ্টেম্বরের মধ্যে
যোগাযোগ করার
জন্য অনুরোধ
করা যাচ্ছে।
বুকিং আগে
এলে আগে
পাবেন ভিত্তিতে
হবে।
টিকিট ইস্যু
করছে সৌদি
অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস
এদিকে দীর্ঘ
প্রতীক্ষার পর
গতকাল সৌদি
থেকে আসা
রিটার্ন টিকিটের
যাত্রীদের ফিরতি
টিকিট দেয়া
শুরু করেছে
সৌদি অ্যারাবিয়ান
এয়ারলাইনস। গতকাল
বেলা পৌনে
২টায় সোনারগাঁও
হোটেলের কার্যালয়ে
টিকিট দেয়া
শুরু করে
তারা। সৌদি
অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসে
রিটার্ন টিকিট
কেটে দেশে
আসা যাত্রীদের
মধ্যে ৫০০
জনকে গতকাল
টিকিট দেয়া
হয়।
সৌদি এয়ারলাইনস
কর্তৃপক্ষ বলছে,
কভিড-১৯
প্রাদুর্ভাব শুরুর
আগে যারা
রিটার্ন টিকিট
কেটে দেশে
ফিরেছেন, এখন
শুধু তাদের
টিকিট দেয়া
হবে। নতুন
করে কোনো
টিকিট ইস্যু
করা হবে
না। গতকাল
১ থেকে
৫০০ পর্যন্ত
টোকেনধারীদের টিকিট
দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশীরা
১ অক্টোবর
থেকে ওমান
যেতে পারবেন
ওমান থেকে এসে আটকে পরা প্রবাসী বাংলাদেশীরা আগামী ১ অক্টোবর থেকে আবারো সেখানে ফিরে যেতে পারবেন। এজন্য দূতাবাস থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি)
নেয়াও দরকার হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, আমাদের বহু প্রবাসী আটকে রয়েছেন। মালয়েশিয়া, ওমান, ইউএইসহ বহু জায়গায় যাওয়ার জন্য আটকে রয়েছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) সুখবর পেলাম ওমান থেকে। ওমানে যাওয়ার জন্য যারা আটকে রয়েছেন, তারা নিশ্চিন্তে যেতে পারবেন। ওমান সরকার আমাদের জানিয়েছে, যত বাংলাদেশী এখানে আটকা পড়ে আছেন, যারা ওমানে যেতে চান তাদের দূতাবাস থেকে কোনো ধরনের ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) দরকার হবে না। এ বাধ্যবাধকতা ছাড়াই তারা যেতে পারবেন। আগামী ১ অক্টোবর থেকে তারা যেতে পারবেন। শুধু মেয়াদসম্পন্ন রেসিডেন্ট আইডি ইকামা, পাসপোর্ট, কভিড-১৯ পরীক্ষা এবং ওমানে পৌঁছানের পর বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। যেকোনো উড়োজাহাজেই যেতে পারবেন বাংলাদেশী প্রবাসীরা।
সৌদি আরব নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা
কয়েক দিন ধরে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। সৌদিতে বাংলাদেশের অনেক প্রবাসী। তারা অনেক মাস ধরে সৌদি আরব যেতে পারছেন না। তাদের অনেকেরই চাকরি চলে যাবে। অনেকের দোকান রয়েছে, সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সৌদির সঙ্গে আমরা অনেক দিন ধরে এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। কিন্তু ফলপ্রসূ কিছু পাইনি। গতকাল (বুধবার) আমরা খুব ভালো খবর পেয়েছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুখবর হচ্ছে, বিমানের ফ্লাইটগুলো আগামী ১ তারিখ থেকে সব চালু হবে। দ্বিতীয়ত, সৌদিয়া এয়ারলাইনসও আসবে। প্রবাসীরা যারা আটক ছিলেন, তারা এখন প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজে যোগ দিতে পারবেন। এরই মধ্যে অনেকের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সৌদি সরকার বলেছে, কোনো সমস্যা নেই। তারা ভিসা নবায়ন করতে পারবেন।