লক্ষ্মীপুরে মো. জাবেদ হোসেন (২০) নামে এক কলেজছাত্রকে ফোন করে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটোক সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার বিজয়নগর গ্রামে প্রেমিকার নানার বাড়ি (ইন্দ্রপণ্ডিত বাড়ি) থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
কলেজছাত্র জাবেদ একই ইউনিয়নের হাসন্দী গ্রামের শরীফ উল্যার ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুর দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের পূর্ব হাসন্দি গ্রামের মো. সেলিমের মেয়ের সঙ্গে জাবেদের দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। বিষয়টি জানার পর ক্ষিপ্ত হয় মেয়ের পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে দুজনই সিদ্ধান্ত নেয় পালিয়ে বিয়ের করার। ঘটনার দিন সকালে বিষয়টি টের পেয়ে মেয়ের ভাই ফরহাদ, রুবেল, লিটনসহ কয়েকজন কৌশলে জাবেদকে ফোন করে প্রেমিকার নানার বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানেই তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মৃতদেহ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
কলেজ ছাত্রের বাবা শরীফ উল্যা অভিযোগ, প্রেম সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর মৃতদেহ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
তবে পিটিয়ে হত্যার বিষয় অস্বীকার করে মেয়ের খালা জানান, পালিয়ে যাওয়ার জন্য দু’জন বিজয়নগর মেয়ের নানার বাড়িতে একত্রিত হয়। কিন্তু মেয়ে পালাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষোভের বসত ঘরের দরজা লাগিয়ে ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে কলেজছাত্র জাবেদ।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মোছলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
