তিস্তায় হঠাৎ পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট

উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তায় আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পেয়ে উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুরের তিস্তা তীড়বর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকা সমূহ প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও লালমনিরহাট সহ রংপুর অঞ্চলে গত এক সপ্তাহ থেকে টানাবৃষ্টিপাত হচ্ছে। একারণে তিস্তায় কিছুটা পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি ছিল।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার গোড্ডিমারীতে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানিপ্রবাহিত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

গোড্ডিমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, ‘হঠাৎ তিস্তায় বন্যা দেখা দেওয়ায় অনেক মানুষের বাড়ি পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।’

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পানির প্রবাহ। সন্ধ্যায় তা আরো গতি পায়। বিকেল ৩টায় যেখানে বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানিপ্রবাহ হচ্ছিলো, সন্ধ্যা হতে হতে তা বেড়ে উল্টো বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু করে।

তিনি আরো বলেন, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুরসহ রংপুর অঞ্চলে গত এক সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতেও নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বুধবার রাত ১০টার দিকে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানি পরিমাপক) এএসএম আমিনুর রশীদ বণিক বার্তাকে বলেন, ভারতের সিকিম, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং সহ আশপাশে ভারীবর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (আজ) মধ্যেই এ পানিপ্রবাহ ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তিস্তার পানিবৃদ্ধি পেয়ে আকস্মিক বন্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের মনিটরিং করার নির্দেশনাসহ ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকার করার কথা বলা হয়েছে।  

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন