তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই করোনা মহামারীর মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকায় আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়ার প্রায় সব দেশের উপরে।
গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি প্রকাশিত ২০২০ সালে এশিয়ার দেশগুলোর জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলনের উদ্ধৃতি দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এডিবির প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ, যেখানে ভারতের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক শূন্য দশমিক ৯, পাকিস্তানের ঋণাত্মক শূন্য দশমিক ৪, শ্রীলংকার ঋণাত্মক ৫ দশমিক ৫, চীনের ১ দশমিক ৮, থাইল্যান্ডের ঋণাত্মক ৮, ফিলিপাইনের ঋণাত্মক ৭ দশমিক ৩, সিঙ্গাপুরের ঋণাত্মক ৬ দশমিক ২।
মন্ত্রী বলেন, করোনায় যখন পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেল, বাংলাদেশেও সবকিছু ছুটি ঘোষণা করা হলো, তখন অনেকেই দেশ নিয়ে নানা আশঙ্কা-শঙ্কা করেছিলেন। কারণ বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল খেটে খাওয়া মানুষের দেশ, যে দেশে কোটি কোটি মানুষ প্রাত্যহিক উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল। এখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। কিন্তু দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সব শঙ্কা-আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ হলো। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব, সময়োচিত পদক্ষেপ, মানুষের জন্য আর্থিক সহায়তা, খাদ্যসহায়তা, অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা ঘোষণা এবং বাস্তবায়নের কারণে দেশে সাড়ে ছয় মাসে অনাহারে একজন মানুষেরও মৃত্যু হয়নি, খাদ্যের জন্য কখনো কোথাও হাহাকার হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই এটি সম্ভবপর হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা মানুষকে এ দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করেছেন, আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে সম্পৃক্ত করেছেন। তার আহ্বানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ দুর্যোগ মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন, গত সাড়ে ছয় মাস বঙ্গবন্ধুকন্যা একদিনের জন্যও বসে থাকেননি, প্রতিদিন কাজ করছেন। শুধু মন্ত্রিসভার বৈঠক বা একনেক সভা করছেন তা নয়, তিনি বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করছেন, অন্যান্য কাজও করছেন। এ সময় অনেক দেশে এসব কাজকর্ম বন্ধ ছিল। আমাদের দেশে সেটি বন্ধ হয়নি। সেই কারণে আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল থেকেছে, এশিয়ার প্রায় সব দেশকে পেছনে ফেলেছে, এ করোনাকালেও এডিবির প্রাক্কলন অনুযায়ী, আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ, করোনা না থাকলে সেটি করা সম্ভবপর হতো।