জলবায়ু সমস্যা সমাধানে স্বর্ণালি সুযোগ কভিড-১৯ মহামারী

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ মহামারী বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে এবং সরকারগুলোকে এটার পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে বাধ্য করেছে। তবে অর্থনীতির ক্ষতি হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মহামারীটি বিশাল সুযোগ হতে পারে। সময়টি বিশ্বনেতাদের জন্য পরিবেশকে কিছু সময়ের জন্য মুক্তি দেয়ার এবং ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে সবুজের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য একটা স্বর্ণালি সুযোগ।

তবে সিএনএনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, বিশ্বের বৃহত্তম জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশগুলো দূষণকারী শিল্পগুলোকে আরো উৎসাহ দেয়ার জন্য তহবিল দিচ্ছে। নতুন ডাটা দেখায়, সিদ্ধান্তগুলো বিশ্বকে জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিচ্ছে।

জলবায়ুবিষয়ক থিংক ট্যাংক নিউক্লাইমেট ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকারের একটি আসন্ন গবেষণার সহলেখক অধ্যাপক নিকলাস হাহ্নে বলেছেন, আমাদের এটাই একটি সুযোগ।

গবেষণাটি দেখায়, প্রাক-তাপমাত্রা থেকে ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে সীমিত করার এবং এরই মধ্যে দশমিক ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ করার লক্ষ্যমাত্রার পেছনে বিশ্ব ভালোভাবে এগোচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা এমন পরিস্থিতিতে রয়েছি, যেখানে প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে। সরকারের বাজেট থেকে এত বেশি অর্থ ব্যয় করার অনুরূপ সুযোগ আগামী ১০-২০ বছরে আর আসবে না।

জাতিসংঘ বলেছে, বিপর্যয়কর মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন বন্ধে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা জরুরি। অর্থনীতিকে স্থবির করে দেয়া মহামারীর সময়ও আমরা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিশ্বের চারটি অংশকে জীবাশ্ম জ্বালানির দিকে ঝুঁকতে দেখছি। মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকে পুনরায় দাঁড় করাতে পোল্যান্ড অনাবশ্যক কয়লা কিনতে ২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য অপরিহার্য হিসেবে বিবেচিত একটি নতুন তেল পাইপলাইনে দশমিক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যটিকে দ্রুত কভিড-১৯-এর কালো থাবা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করার জন্য একটি নতুন কয়লাখনিকে দ্রুত পর্যবেক্ষণ করছে। এদিকে ভারত কভিড-১৯-এর সংকটকে সুযোগে পরিণত করার লক্ষ্যে কয়েক ডজন কয়লা খনি বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করছে।

অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোয় ভবিষ্যতে উপকূল রেখায় আমূল পরিবর্তন আসতে পারে। দেশগুলোর উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর বাইরেও পৃথিবীর অনেকগুলো ছোট-বড় শহর উপকূলে অবস্থিত এবং এগুলো ক্রমবর্ধমান সমুদ্র দ্বারা হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।

সিএনএন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন