হিলিতে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার কার্যকর

বণিক বার্তা প্রতিনিধি হিলি

পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এরই মধ্যে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে।

হিলি শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে পেঁয়াজ আমদানিতে শতাংশ শুল্কারোপ করা ছিল। মঙ্গলবার শুল্কহার প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। গতকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরে সেটি কার্যকর করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

বণিক বার্তার সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান শতাংশ শুল্কহার তুলে নিলেও হিলি স্থলবন্দরে বড় কোনো প্রভাব পড়বে না। কেননা স্থলবন্দর দিয়ে মূলত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়। ভারত সরকার বর্তমানে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রেখেছে। তবে শুল্ক প্রত্যাহারের উদ্যোগের প্রভাব পড়বে চট্টগ্রামসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোয়।

এদিকে ভারত ব্যতীত অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে ভীতি কাজ করছে হিলির আমদানিকারকদের মনে। স্থানীয় আমদানিকারক বাবলুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ভৌগোলিক নৈকট্যের কারণে সময় পরিবহন ব্যয় কম লাগায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি লাভজনক। তবে ভারত সরকার পূর্বঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় আমাদের এলসির টাকা আটকে গেছে। পরিস্থিতিতে সমুদ্রপথে অন্যান্য দেশ থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এসব উদ্যোগ নিয়ে আমরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছি।

তিনি আরো বলেন, অন্যান্য দেশ থেকে সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানিতে বাড়তি খরচ হবে। এর মধ্যে ভারত যদি হঠাৎ করে রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে কম দামে ভারত থেকে পেঁয়াজ চলে আসবে। তখন আমরা অন্যান্য দেশ থেকে তুলনামূলক বেশি দামে আমদানি করা পেঁয়াজ নিয়ে সংকটে পড়ব। কম দামে বিক্রি করতে হবে। এজন্য সরকারের উচিত ভারত ছাড়া বিকল্প উৎস থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন