স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের র হাসপাতাল শাখার সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছে দুদক। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি।
আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. ইউসুফ আলী, সহকারী পরিচালক ডা. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা হিসেবে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করে আত্মসাৎ এবং রিজেন্ট হাসপাতাল লি. ঢাকার জন্য চিকিৎসক-নার্স-ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার উদ্যোগ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
নভেল করোনাভাইরাসের সনদ জালিয়াতির অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ৬ জুলাই র্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। এ ঘটনায় সাহেদকে আসামি করে মামলাও দায়ের করে সংস্থাটি। এর প্রায় নয়দিন আত্মগোপনে থাকার পর সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করে র্যাব। আর আর্থিক অপরাধসংক্রান্ত অভিযোগগুলো অনুসন্ধানের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) চিঠি পাঠায় র্যাব।