করোনার সেকেন্ড ওয়েভ

অর্থনীতি সচল রেখে কর্মপরিকল্পনা সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেল করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবেলায় নিজ নিজ মন্ত্রণালয়কে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে লকডাউন দেয়ার বিষয়টি এখনো সরকারের চিন্তার মধ্যে নেই। অর্থনীতি সচল রেখেই দ্বিতীয় ধাক্কা সামলানোর পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

গতকাল সচিবালয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হওয়ার আশঙ্কাকে সামনে রেখে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা সভায় অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদি করোনার দ্বিতীয় পর্যায় আসে, সেজন্য আমরা টোটাল প্রোগ্রামকে ভাগ করে নিচ্ছি। ওয়ার্ক প্ল্যান রেডি করে নিতে হবে। ক্লিনিক্যাল সাইডটা আমাদের এক্সপার্টরা রেডি করবেন, যদি রোগটা বিস্তার করে, কীভাবে তার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান হবে। সাপ্লিমেন্টারি ক্লিনিক্যাল সাইড, যেহেতু শীতের সময় অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা বেশি থাকবে, সেটাও ইমিডিয়েটলি সবাইকে সচেতন করে দেয়া এবং তারও একটা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান রেডি করা।

তিনি বলেন, ব্যাপক প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন চালাতে হবে, সবাই যাতে মাস্ক পরে। সবাই যাতে দূরত্বটা বজায় রাখে। স্বাস্থ্য নির্দেশিকা সবাই যাতে মেনে চলে। এনফোর্সমেন্ট সাইড, মাঠ প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, পুলিশ, সেনাবাহিনীএটা (নিজেদের কাজ) কীভাবে করবে, সেই ওয়ার্ক প্ল্যান করা হবে।

বাইরে থেকে অনেক লোকজন দেশে আসছে বাইরে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে বাইরে থেকে আর ভাইরাস না আসে। বিমানবন্দরে সশস্ত্র বাহিনীর বড় টিম আছে, তারা দেখাশোনা করছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা বসে সভা করে ওয়ার্ক প্ল্যান করে ওপেন করে দেব।

স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে অভিযান বাড়ানো হবে কিনা, জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। যদি কোনো রকম ইমপ্যাক্ট না পড়ে, আমাদের মূল কথা থাকবে আমরা অর্থনীতিকে সচল রাখব।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয়ের ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তারা তাদের অধিক্ষেত্রের অফিসগুলো কীভাবে চালাবে তারা সেই ব্যবস্থা নেবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পিআইডি, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদগুলোকে ব্যবহার করে মানুষকে আরো সচেতন করা হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের ইউনিয়ন পর্যন্ত কর্মচারী আছে, তারা বিষয়ে কাজ করবেন। গণমাধ্যমেরও একটা বড় ভূমিকা আছে। -১০ দিন সময় দিয়েছি, সময়ে তারা কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন