দেশে কভিড-১৯ শনাক্তের ২০০তম দিন পূর্ণ হচ্ছে আজ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে আরো ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ৫৫৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৭৮ জনে। বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ২ হাজার ৭৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৬০ হাজার ৭৯০ জন হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০২টি ল্যাবে ১৪ হাজার ১৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮৭টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ। গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন, নারী ১১ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
মৃতদের ১৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ছয়জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, সাতজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০, একজন করে মোট দুজন ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ও ১০ বছরের কম ছিল। ১৮ জন ঢাকা বিভাগের, চারজন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন খুলনা বিভাগের এবং একজন করে মোট তিনজন রাজশাহী, সিলেট ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৭ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৮৯০ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ১১৭ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২ হাজার ৫২৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৩৫৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৪৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৯১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১১৭ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৩ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৬৭ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৩৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৩২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪২০ জন খুলনা বিভাগের, ১৮৫ জন বরিশাল বিভাগের, ২২২ জন সিলেট বিভাগের, ২৩৫ জন রংপুর বিভাগের এবং ১০৭ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। তার মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।