ভূমি অফিস নির্মাণ

৫২ লাখ টাকা ফেরত দিল নাটোর গণপূর্ত বিভাগ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি নাটোর

সরকারি কোটি টাকার প্রকল্পের শতভাগ কাজ বাস্তবায়ন করে অব্যবহূত ৫২ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে নাটোর গণপূর্ত বিভাগ। অব্যবহূত পুরো টাকাই সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন নাটোর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম।

গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, উপজেলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস (ষষ্ঠ পর্ব) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নাটোর জেলায় সাতটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণকাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় কোটি ৯৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে নাটোর গণপূর্ত বিভাগ সাতটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণে ব্যয় করে কোটি ৪১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এতে ওই প্রকল্পে সাশ্রয় হয় লাখ ১৮ হাজার টাকা।

গণপূর্ত বিভাগ আরো জানায়, নাটোর সদর উপজেলার বড়হরিশপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৬০ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, সেখানে শিডিউল অনুযায়ী পুরো কাজ শেষ হয়েছে ৫৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। এছাড়া নলডাঙ্গা উপজেলার বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নের ভূমি অফিস নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় ৬০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা, সেখানে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৫৩ লাখ ১২ হাজার টাকায়, গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৬৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, কিন্তু ভূমি অফিসটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা, বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৬৯ লাখ ৭২ হাজার, কিন্তু সেখানে নির্মাণে ব্যয় হয় ৬৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা, একই উপজেলার চান্দাই ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯১ লাখ ৩১ হাজার টাকা, ৯০ লাখ ৩১ হাজার টাকায় তা নির্মাণ করা হয়। এছাড়া সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, কিন্তু অফিসটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা এবং একই উপজেলার লালোর ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৮ লাখ হাজার টাকা, সেখানে ব্যয় হয় ৬৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

নাটোর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নানা অনিয়ম আর লুটপাটের মধ্যে ধরনের খবর আশার সঞ্চার করে। ইচ্ছা করলে প্রকল্প ব্যয় বেশি দেখিয়ে প্রকৌশলী টাকা তুলে নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। সরকারি অর্থ যথাযথ ব্যয় করে সাশ্রয়ী টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি, এজন্য সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।

বিষয়ে নাটোর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, সাইড সিলেকশন করে সাতটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণের জন্য কোটি ৯৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমরা শিডিউল অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পর অতিরিক্ত ৫২ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়। আমরা সরকারি টাকা তসরুপ না করে কোষাগারে সেই টাকা ফেরত দিয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন