ক্রমেই চাঙ্গা হয়ে উঠছে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর ধাক্কা সামলে ক্রমেই চাঙ্গা হয়ে উঠছে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি খাত। ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের জুলাইয়ে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েল পাম অয়েলজাত পণ্য রফতানি আগের মাসের তুলনায় বেড়ে ৩১ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। সময় পাম অয়েল পাম অয়েলজাত পণ্য রফতানি করে দেশটির আয়ও আগের মাসের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের (আইপিওএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে। খবর সিনহুয়া জাকার্তা পোস্ট।

পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান একদম শীর্ষে। পণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায়ও দেশটি শুরুর অবস্থানে রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া মিলে পাম অয়েলের বৈশ্বিক উৎপাদন রফতানির ৯০ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। আইপিওএ জানিয়েছে, চলতি বছরের জুলাইয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৩১ লাখ ৩০ হাজার টন পাম অয়েল পাম অয়েলজাত বিভিন্ন পণ্য রফতানি হয়েছে। আগের মাসে দেশটি থেকে ২৭ লাখ ৬০ হাজার টন পাম অয়েল পাম অয়েলজাত বিভিন্ন পণ্য রফতানি হয়েছিল। সে হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে ইন্দোনেশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েল পাম অয়েলজাত বিভিন্ন পণ্যের রফতানি বেড়েছে লাখ ৭০ হাজার টন।

চলতি বছরের জুলাইয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি হওয়া ৩১ লাখ ৩০ হাজার টন পাম অয়েল পাম অয়েলজাত বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে ১৯ লাখ ৬০ হাজার টন পাম অলিন, পাম ফ্যাটসহ পাম অয়েলজাত বিভিন্ন পণ্য ছিল বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আইপিওএ। এর আগের মাসে দেশটি থেকে ১৬ লাখ টন পাম অয়েলজাত বিভিন্ন পণ্য রফতানি হয়েছিল।

জুলাইয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে রফতানি হওয়া পাম অয়েলের প্রধান ক্রেতা ছিল চীন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। সময় চীনের বাজারে দেশটি থেকে সব মিলিয়ে লাখ ২৯ হাজার টন পাম অয়েল পাম অয়েলজাত পণ্য রফতানি হয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে ইন্দোনেশিয়া থেকে চীনে পণ্যটির রফতানি বেড়েছে আগের মাসের তুলনায় লাখ ৮৮ হাজার টন। অন্যদিকে জুলাইয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় পাম অয়েল পাম অয়েলজাত পণ্য রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে লাখ ৭৩ হাজার টনে, যা আগের মাসের তুলনায় লাখ হাজার টন বেশি। 

আইপিওএর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুলাইয়ে পাম অয়েল পাম অয়েলজাত বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ইন্দোনেশিয়ার সম্মিলিত আয় দাঁড়িয়েছে ১৮৬ কোটি ডলারে, যা আগের মাসের তুলনায় ২৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার বেশি। গত জুনে দেশটি ১৩৬ কোটি ডলারের পাম অয়েল পাম অয়েলজাত পণ্য রফতানি করেছিল। সে হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে পাম অয়েল পাম অয়েলজাত বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ইন্দোনেশিয়ার আয় বেড়েছে ১৫ শতাংশ।

বিষয়ে আইপিওএর নির্বাহী পরিচালক মুক্তি সাদজোনো বলেন, করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে জুলাইয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি খাত। সময় অপরিশোধিত পাম অয়েল, পাম অয়েল থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের রফতানি বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে খাত থেকে রাজস্ব আয়। আগামী কয়েক মাসে রফতানি খাত চাঙ্গা থাকলে করোনার ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল শিল্প।

তিনি আরো বলেন, রফতানি খাতের এমন চাঙ্গা ভাব ইন্দোনেশিয়ার বাজারে পাম অয়েলের গড় দাম আগের তুলনায় বাড়িয়ে দিয়েছে। গত জুন মাসে প্রতি টন অপরিশোধিত পাম অয়েলের গড় দাম ছিল ৬০২ ডলার। জুলাইয়ে পণ্যটির গড় দাম বেড়ে টনপ্রতি ৬৫৯ ডলারে উন্নীত হয়েছে। রফতানি খাতে এমন চাঙ্গা ভাব ধরে রাখা সম্ভব হলে বছরের বাকি মাসগুলোয় পাম অয়েলের দাম বর্তমানের তুলনায় বাড়তির পথে থাকতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন