দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে সোমবার ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচামরিচের দাম একদিনে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫০ টাকা বেড়েছিল। তবে গতকাল পণ্যটির দাম ফের কমেছে। একদিনের ব্যবধানে এখানকার পাইকারি বাজারে আমদানি করা কাঁচামরিচের দাম কমেছে কেজিতে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা।
গতকাল হিলির পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি কাঁচামরিচ মানভেদে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। একদিন আগেও আমদানি করা এসব কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সে হিসাবে, একদিনে হিলির পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম কমেছে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা।
তবে রোববার হিলির পাইকারি বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা এসব কাঁচামরিচ মানভেদে কেজিপ্রতি ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অর্থাৎ, আগের দিনের তুলনায় কমে এলেও পাইকারি পর্যায়ে রোববারের তুলনায় এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আমদানি করা কাঁচামরিচ।
স্থানীয় আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, অতিবৃষ্টি ও দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কারণে এবার কাঁচামরিচের ক্ষেত্রে আমদানিনির্ভরতা বেড়েছে। কেননা বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্ষেতে কাঁচামরিচ নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমে এসেছে। এর জের ধরে দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে সড়ক ও রেলপথে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন হিলির আমদানিকারকরা। ভারত সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনের তুলনায় দেশটি থেকে পর্যাপ্ত কাঁচামরিচ আমদানি অব্যাহত ছিল। সে তুলনায় বেচাকেনা ছিল কম। মূলত এ কারণে টানা কয়েকদিন আমদানি করা কাঁচামরিচের দাম ছিল কমতির দিকে।
তিনি আরো বলেন, কাঁচামরিচের আমদানি পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। ভারত থেকে পণ্যটির আমদানি সীমিত হয়ে এসেছে। আগে এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২০-২৫ ট্রাক কাঁচামরিচ আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ১০-১৫ ট্রাকে নেমে এসেছে। মূলত ভারতের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমায় আমদানি সীমিত হয়ে এসেছে। তবে গতকাল হিলির পাইকারি বাজারে দাম কমে এলেও আমদানি পরিস্থিতি সীমিত থাকলে দীর্ঘমেয়াদে কাঁচামরিচের দাম বাড়তির দিকে থাকতে পারে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল ভারত থেকে আরো কমে ১০টি ট্রাকে ৭৩ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে।