আটকে থাকা পেঁয়াজ রফতানিতে ভারত সরকারের অনুমোদন না মেলায় দীর্ঘ নয়দিন ধরে সীমান্তের ভারতীয় অংশে দাঁড়িয়ে থাকা পেঁয়াজবাহী ট্রাকগুলোকে সরিয়ে নিয়েছেন ভারতীয় রফতানিকারকরা। বেশ কিছুদিন আটকে থাকার কারণে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হতে শুরু করায় তারা ট্রাকগুলো সরিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ৪টা পর্যন্ত দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশ করেনি। এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার ১১ ট্রাক পেঁয়াজ রফতানি করে ভারত, পরের দিন থেকে আবার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়া হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার।
ভারতীয় ট্রাকচালক সুশীল কুমার বলেন, পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ভারতের অভ্যন্তরে হিলিতে ছোট পার্কিং ও বালুপাড়াতে বড় পার্কিংয়ে থাকা ১২০টির মতো পেঁয়াজবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু বেশ কয়েকদিন হয়ে যাওয়ার কারণে গরমে ট্রাকে থাকা পেঁয়াজগুলো পচতে শুরু করে গন্ধ বেরিয়ে গেছে। এমন অবস্থায় ওইসব ট্রাক সরিয়ে নিয়ে গুদামে বা বিভিন্ন মোকামে বিক্রি করছেন রফতানিকারকরা। অনেক পেঁয়াজের অবস্থা এমন যে নদীতে ফেলে দিচ্ছেন তারা।
ভারতীয় হিলির সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খোকন সরকার জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় বেশ কিছু পেঁয়াজবাহী ট্রাক সীমান্তে আটকা পড়ে যায়। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর টেন্ডার হওয়া ১১ ট্রাক পেঁয়াজ অনুমতি সাপেক্ষে ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে রফতানি করা হয়। কিন্তু বাকি ট্রাকগুলোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বেশ কয়েকদিন ট্রাক বোঝাই থাকার কারণে পেঁয়াজগুলোর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় রফতানিকারকরা ট্রাকগুলো সীমান্তের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে তাদের নিজ নিজ গুদামে খালি করে নিচ্ছেন।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, রফতানি বন্ধের পাঁচদিন পর ভারত ১১ ট্রাক পেঁয়াজ রফতানি করে যার অর্ধেকের বেশি পেঁয়াজ পচা, নষ্ট হয়ে পানি ঝরছিল। কিছু পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারলেও অনেক পেঁয়াজ ফেলে দিতে হয়েছে। ওই ১১ ট্রাক পেঁয়াজে অর্ধকোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে আমাদের। আটকে থাকা সেই পেঁয়াজের অবস্থা নিশ্চয় আরো খারাপ। ভ্যাপসা গরম ও অতিবৃষ্টির কারণে ৭৫ ভাগের বেশি পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তাদের দশ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি দেয়া আছে বলেও জানান তিনি।