দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরো ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ৯৭৯-এ। এ সময় নতুন করে আরো আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭০৫ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬২১-এ। গতকাল বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দেশের ৯৯টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ৯৬৭টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৫৩টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩২৩টি।
একদিনে আরো ২ হাজার ১৫২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৭১৭ জন হয়েছে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখনো অ্যাকটিভ করোনা রোগী রয়েছে ৯১ হাজার ৯০৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ। এ সময়ে মৃত ৪০ জনের মধ্যে পুরুষ ২৭ জন ও নারী ১৩ জন। এ পর্যন্ত মৃত ৪ হাজার ৯৭৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৮৭৩ জন, যা শতাংশের হিসাবে ৭৭ দশমিক ৭৯ এবং নারী রয়েছেন ১১০৬ জন, যা শতাংশের হিসাবে ২২ দশমিক ২১।
মৃতদের বয়স বিভাজনে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে, যার বয়স দশের নিচে। এছাড়া ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী মারা গেছেন দুজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১০ জন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সের মারা গেছেন ২০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন যথারীতি ঢাকা বিভাগেই, ২৬ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে নয়জন, রংপুরে দুজন এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৭ জন, বাড়িতে মারা গেছেন দুজন এবং আরেকজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা। জনস হপকিনসের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল বিকাল পর্যন্ত এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১০ লাখ ৭৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ৯ লাখ ৬০ হাজার। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় ১৮ মার্চ।