পুঁজিবাজারে অনলাইন বা ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে প্রথমবারের মতো গণশুনানির আয়োজন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ট্রেনিং একাডেমি। গণশুনানিতে পুঁজিবাজারের সব ট্রেকহোল্ডাররা অনলাইন ট্রেডিংয়ের বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা, মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মো. আব্দুল হালিম।
শুনানিতে অংশগ্রহণকারী ট্রেকহোল্ডারদের ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও এর সমাধানের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মো. জিয়াউল করিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার মো. আব্দুল হালিম বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্কারের সুফল নাগরিকরা পুরোপুরি ভোগ করতে পারছে কিনা কিংবা এক্ষেত্রে তাদের কোনো দুর্ভোগ হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে জানতে এবং স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি গণশুনানির আয়োজন করাও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ। আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিএসইসি আরো অনেক কাজ করে থাকে। বর্তমান কমিশন মনে করে, সুশাসন নিশ্চিতে সরকারের যে নির্দেশনা রয়েছে তার প্রথম ক্ষেত্র হচ্ছে স্টক এক্সচেঞ্জ ও এর ট্রেকহোল্ডারদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও পুঁজিবাজারের সহায়ক হয় এমন কার্যক্রমই আমাদের উদ্দেশ্য।