তরমুজের নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন বারির

বণিক বার্তা প্রতিনিধি গাজীপুর

দেশেই বীজ উৎপাদন সম্ভব এমন দুটি তরমুজের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা। বারির সবজি বিভাগ এবং আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, লেবুখালী, পটুয়াখালীর যৌথ উদ্যোগে দুটি জাত উদ্ভাবন করা হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত বিশুদ্ধ লাইন থেকে উদ্ভাবিত দুটি ওপি (ওপেন পলিনেটেড) জাতের একটির ভেতরে (মাংসল অংশ) হলুদ এবং অপরটির ভেতরে টকটকে লাল। শিগগিরই দুটি জাত নিবন্ধনের মাধ্যমে মুক্তায়িত করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল দুটি জাতের গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান . শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং বারির মহাপরিচালক . মো. নাজিরুল ইসলাম। সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বারির পরিচালক (গবেষণা) . মো. মিয়ারুদ্দীন, পরিচালক (পরিকল্পনা মূল্যায়ন) . মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ যোগাযোগ) . মুহাম্মদ সামসুল আলম, সবজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা . ফেরদৌসি ইসলাম প্রমুখ।

জাত উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বারির বিজ্ঞানীরা জানান, দেশে গ্রীষ্মকালে যেসব উন্নত মানের তরমুজ পাওয়া যায় তার প্রায় সবই জাপান বা অন্যান্য দেশ, যেমন চীন, থাইল্যান্ড, ভারত থেকে আমদানীকৃত সংকর জাতের বীজ থেকে উৎপাদন করা হয়। ফলে তরমুজের বীজ আমদানি বাবদ প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়। এছাড়া এসব জাতের বীজের বিশুদ্ধতা অঙ্কুরোদ্গম হার সব সময় ঠিক না থাকায় কৃষকরা প্রতারিত হন। কিন্তু বারি উদ্ভাবিত জাত দুটি থেকে কৃষক নিজেই বীজ উৎপাদন করতে পারবেন। জাত দুটির ফলন, আকৃতি, স্বাদ মিষ্টতা প্রচলিত জাপানি সংকর জাতের চেয়ে উন্নত। এছাড়া জাত দুটি বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী অমৌসুমি জাত হওয়ায় কৃষক এখান থেকে অধিক লাভবান হবে। হাইব্রিড জাত হিসেবে মুক্তায়িত হওয়ার পর ব্যাপক সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে বীজ আমদানি বাবদ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানো সম্ভব হবে এবং তরমুজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন