করোনার আঘাতে যে কয়টি খাত বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ‘পর্যটন’ তাদের অন্যতম। মানুষের জন্য ঘরে থাকাটাই সবচেয়ে নিরাপদ—সব পক্ষের এমন প্রচারণা এ খাতকে প্রবলভাবে ধাক্কা দিয়েছে। ফলে গ্লোবাল জিডিপিতে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ (৮.৩ ট্রিলিয়ন ডলার) অবদান রাখা এবং মোট ৪৩২ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা পর্যটন আক্ষরিক অর্থেই থমকে গেছে। এমন বাস্তবতায় ২৭ সেপ্টেম্বর উদযাপন করা হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। এ বছর দিবসটির থিম ঠিক করা হয়েছে ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট’। সামগ্রিক বিবেচনায় নিঃসন্দেহে এটা খুবই যুক্তিগ্রাহ্য প্রতিপাদ্য বিষয়। বাংলাদেশের বাস্তবতায় সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোয় আলোকপাত করাই আজকের নিবন্ধের উদ্দেশ্য।
সূচনালগ্ন থেকে আমাদের পর্যটন নিয়ে কাজের চেয়ে কথা হয়েছে ঢের বেশি। প্রায় সবাই বলেন, আমাদের পর্যটন খুবই সম্ভাবনাময় শিল্প। অথচ নীতিনির্ধারকদের বিবেচনায় এটা এখনো শিল্প নয়! যতদূর জানি, সম্মিলিত পর্যটন জোট অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে সম্মত করাতে ব্যর্থ হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই পর্যটনের জন্য স্বতন্ত্র কোনো মন্ত্রণালয় নেই। সাধারণত সংস্কৃতি, স্বরাষ্ট্র বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই খাতের দেখভাল করে থাকে। তার পরও তারা পর্যটন খাতে ক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রায় সূচনালগ্ন থেকেই আমাদের মন্ত্রণালয় ও স্বায়ত্তশাসিত করপোরেশন রয়েছে। এমনকি শক্তিশালী বোর্ড গঠনের পরেও প্রত্যাশিত ফল মিলছে না। ফলে যুগের পর যুগ সম্ভাবনার কথা উচ্চারিত হলেও অগ্রগতি তেমনভাবে দৃশ্যমান নয়—এটা এক রহস্য বটে!
করোনাকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ভোগ অব্যাহত থাকলেও মানুষের শৌখিন ঘোরাঘুরি প্রায় বন্ধ রয়েছে। ফলে পর্যটনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত মানুষগুলো আকস্মিকভাবে চরম বেকায়দায় পড়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবাসন, পরিবহন, খাবার-দাবার, বিনোদন, কুটির ও হস্তশিল্পের মতো অসংখ্য শিল্পের লোকজন এই খাতে নিজেদের সম্পৃক্ত করে বেশ ভালোই চলছিল। অন্যদের দৃশ্যমান সহায়তা ছাড়াই তারা নিজেদের পথ খুঁজে নিয়েছিল। কিন্তু করোনার প্রবল আঘাতে সেই সিস্টেম তছনছ হয়ে গেছে। ফলে প্রত্যক্ষভাবে পর্যটনসংশ্লিষ্ট কয়েক লাখ মানুষ মারাত্মক সংকটে পড়েছে। এমন বাস্তবতায় বিশ্ব পর্যটন দিবসের বার্তা খুবই তাত্পর্য বহন করে। কারণ গোটা দুনিয়ার পর্যটনসংশ্লিষ্ট গবেষক, নীতিনির্ধারক ও অন্যান্য অংশীজন পর্যটনকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিগত মহামারীগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রথম পর্যায়ে মানুষ হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যেই তারা ঘুরে দাঁড়াতে সচেষ্ট হয়। বাস্তবতার নিরিখে নিজেদের করণীয় ঠিক করে নেয়। করোনার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এখন দ্বিতীয় ঢেউ প্রবল ধাক্কা দিলেও প্রায় প্রত্যেক খাতের কর্মীরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কঠোর পরিশ্রম করছেন। সেক্ষেত্রে স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে, পর্যটনের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুটা ঠিক কোথা থেকে হওয়া উচিত? তার জবাব যথার্থভাবেই এবারের বিশ্ব পর্যটন দিবসের মূল ভাবনায় প্রতিফলিত হয়েছে। অর্থাৎ নগরকেন্দ্রিক ও কৃত্রিম পর্যটন আকর্ষণ নয়; আমাদের ফিরতে হবে শিকড়ে। সেটা সত্যিই করা গেলে ‘একের ভেতরে অনেক’ অর্জন করা সম্ভব—তা সহজেই অনুমেয়।
এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হলো, আগামীতে দলবেঁধে বড় পরিসরে ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা কমবে। আয়োজক ও ভ্রমণকারী উভয় পক্ষই পরিবার ও ছোট পরিসরকেন্দ্রিক ভ্রমণে উৎসাহ দেখাবে। কারণ তারা যেখানেই ঘুরতে যাক না কেন, স্বাস্থ্যসচেতনতার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে। সেক্ষেত্রে দৃষ্টিনন্দন কৃত্রিমতার চেয়ে গ্রাম, বন কিংবা জলকেন্দ্রিক পর্যটন প্রবণতা বাড়বে। গোটা দুনিয়ায় মেরিন ট্যুরিজম ব্লু-ইকোনমির বড় উপাদান বলে গণ্য হবে। তাছাড়া আর্থিক ধাক্কার কারণে ট্যুরিস্টরা বড় ও ব্যয়বহুল পর্যটনকেন্দ্র বাদ দিয়ে তুলনামূলক কম খরচের গন্তব্য খুঁজবে। বিশ্বমানের নিখুঁত সার্ভিসের চেয়ে সেবা প্রদানকারীর আন্তরিকতাকে তারা বেশি মূল্য দেবে। পর্যটনের নীতি ও দর্শনে টেকসই ও প্রকৃতিবান্ধব হওয়ার চাপ বাড়বে। পর্যটকদের মাঝেও এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গোটা দুনিয়ায় ধর্মকে কেন্দ্র করে পরিভ্রমণের রীতি বেশ প্রাচীন। আগামীতে তা আরো সম্প্রসারিত হবে। কারণ করোনাসৃষ্ট দুর্যোগে মানবগোষ্ঠীর বড় এক অংশের জীবনদর্শনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। অর্থ-সম্পদের পেছনে ছোটার পরিবর্তে সাদাসিধে জীবনযাপন, ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয়স্বজনের সান্নিধ্যে সময় কাটানোর আকাঙ্ক্ষা বাড়বে। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের কাছে হজ, বিশ্ব ইজতেমা, ইতিহাস-ঐতিহ্যসমৃদ্ধ স্থান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের [হজরত শাহজালাল (র.), বায়েজিদ বোস্তামী (র.), হয়রত খানজাহান আলী (র.), হজরত শাহ মখদুম (র.) প্রমুখ] মাজারগুলোয় ভ্রমণ ধর্মীয় রীতির অবিচ্ছেদ্য এক অনুষঙ্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে, সনাতন ধর্মে বিভিন্ন ঐতিহাসিক (গয়া, কাশী, বৃন্দাবন, মথুরা প্রভৃতি) স্থানে ভ্রমণকে ব্যাপকভাবে উৎসাহ দেয়া হয়। ফলে আগামীতে ধর্মভিত্তিক পর্যটন সমৃদ্ধির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
আমাদের দেশে এখনো পর্যটন চর্চা ‘মাস ট্যুরিজম’ পর্যায়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিটি স্পটের ‘ক্যারিং ক্যাপাসিটি’র বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ কিছু স্পটে দর্শনার্থীদের ভিড় এড়াতে তাদের বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানোর উদ্যোগ নিতে হবে। নতুন ও তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত স্পটগুলোকে ফোকাস করতে হবে। আগামী দিনের নীতিনির্ধারণে ‘ইকোলজিক্যাল ইমব্যালান্সের’ বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। তাই ট্যুরিস্ট ও ট্যুর অপারেটরদের হাতে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিতে বসে থাকা ঠিক হবে না। করোনাবিশ্ব প্রকৃতিকে যতটুকু স্বাভাবিক হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে—আমাদের উদাসীনতায় যেন তা দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়—সে বিষয়টা বিশেষভাবে বিবেচনায় রাখতে হবে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বা সুন্দরবনের মতো ফরেস্টকে সত্যিকারের সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে গণ্য করে দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃতির ধারা বদলে নগর বানানোর আগ্রাসী (জঙ্গলে এসি লাগানোর) প্রবণতা রোধ করতে হবে।
বাংলাদেশের পর্যটন খাত থেকে প্রত্যাশিত সুবিধা পেতে ট্যুরিজম সেক্টরের রিস্ট্রাকচারিং, রিপজিশনিং ও রিব্র্যান্ডিংয়ের ব্যাপারে সিরিয়াসলি ভাবতে হবে। ঢাকাকেন্দ্রিক অফিস ও সীমিত লোকবল দিয়ে ট্যুরিজম বোর্ডের পক্ষে সত্যিকারের ভালো কিছু করা প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া বর্তমান প্রশাসনিক কাঠামোয় পর্যটন খাতের দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা অসংখ্য কাজের চাপে এদিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দেয়ার সুযোগ পান না। তাই তাদের সহযোগিতা করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ভাবতে হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মতো দেশের প্রতিটি জেলায় পর্যটনসংক্রান্ত অফিস থাকা জরুরি। এতে পর্যটনের স্থানীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। রাজধানীতে বসে গোটা দেশের ‘পর্যটন উন্নয়ন’ নিয়ে ভাবতে গেলে অসংখ্য সম্ভাবনাময় পর্যটন সম্পদ হয়তো কখনই পরিকল্পনাকারীদের দৃষ্টিগোচর হবে না। প্রতি জেলার টিটিসিতে ট্যুর গাইড ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেবা দেয়ার মতো লোক তৈরিতে উদ্যোগ নেয়া দরকার।
আমাদের দেশে পর্যটনবিষয়ক অসংখ্য ধারণা চালু রয়েছে, যা গবেষণানির্ভর নয়। বাংলাদেশের পর্যটন খাতের প্রাণ হলো অভ্যন্তরীণ পর্যটকরা। কিন্তু তাদের প্রকৃত সংখ্যা, ভ্রমণের প্রবণতা, প্রতি বছর ভ্রমণের হার, মাথাপিছু ব্যয়ের পরিমাণ, গড়ে কতদিন কোথায় কাটায়, কোন জাতীয় সেবাকে অগ্রাধিকার দেয় ইত্যাদি বিষয়ে তেমন কোনো সংগঠিত জরিপ হয়নি। তাছাড়া প্রতি বছর বিদেশ থেকে ঠিক কতজন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসে, তা নিয়েও সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয় না। অথচ পর্যটনসংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে গেলে এ তথ্যগুলো জানা থাকা খুবই দরকার। দীর্ঘমেয়াদে নীতিনির্ধারণের সুবিধার্থে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত ডাটাবেজ তৈরি করা জরুরি। একজন মানুষ অন্য কাজে কোনো এলাকায় গেলেও তথ্যগুলো জানা থাকলে নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখতে পারে। সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার গড়ে তোলা দরকার।
খুব সংগত কারণেই আগামী কয়েক বছর ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। ফলে ঘর থেকে বের না হতে পারলেই ভালো। কিন্তু দীর্ঘদিন সন্তানদের স্কুল বন্ধ থাকায়, হোম অফিস কালচার বৃদ্ধি পাওয়ায়, অনলাইন ক্লাস ও শপিং প্রবণতা বাড়ায় মাঝেমধ্যে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রবল হবে। সেক্ষেত্রে গ্রামসংশ্লিষ্ট দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে যাওয়া দারুণ কাজ দেবে। আপনার নিজ জেলায় হয়তো এমন কিছু ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা রয়েছে, যা দেখতে আপনার সন্তানকে কখনো নিয়ে যাওয়া হয়নি, এবার সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। আপনার শৈশব প্রকৃতির কোলে যেমন হাসি-আনন্দে কেটেছে, তেমন পরিবেশের সঙ্গে আপনার সন্তানদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার সুযোগ বয়ে এনেছে এই মহামারী। সেটা কাজে লাগানো গেলে আপনার পরিবারের পাশাপাশি উপকৃত হবে দেশের পর্যটনসংশ্লিষ্ট হাজারো মানুষ।
দর্শনীয় স্থানের পাশাপাশি গ্রামের মানুষের অতিসাধারণ জীবনযাপন প্রণালি, স্থানীয় উপকরণে তৈরি মজার খাবার, বিভিন্ন হস্তশিল্পজাত দ্রব্য ও মনোহর বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে নগরবাসীর মেলবন্ধন হওয়ার উপলক্ষ হতে পারে এই করোনাকাল। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে এ বিষয়গুলোর সঙ্গে পরিচয় করানো খুবই জরুরি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবারের প্রকৃত উেসর সঙ্গে পরিচয় তাদের দেশপ্রেম বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। পাশাপাশি হস্তশিল্পের দৃষ্টিনন্দন পণ্যগুলো কৃত্রিম শোপিস দেখে ক্লান্ত শিশুদের ভিন্নভাবে ভাবতে শেখাবে। সবচেয়ে বড় কথা, এ প্রক্রিয়ায় নগরবাসীর আয়ের একটা অংশ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থানরত গ্রামবাসীর হাতে পৌঁছবে। পল্লীনির্ভর পর্যটন বিকাশের মাধ্যমে সেটা করা খুবই সম্ভব। তাই সংশ্লিষ্ট সবার উচিত এর প্রচার ও প্রসারে যথাসম্ভব ভূমিকা রাখা।
শেষ কথা হলো, আমাদের দেশে এ পর্যন্ত যেসব খাত সত্যিকারের ভালো করেছে, তার প্রায় সবই হয়েছে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের চেষ্টায়। পর্যটন বহু শিল্পের সমন্বয়ে গড়ে ওঠায় এককভাবে এর দায়িত্ব নেয়া বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তাই সরকারি সংস্থাগুলোর দিকে তারা চেয়ে থাকে। কিন্তু করোনা পর্যটনসংশ্লিষ্টদের অস্তিত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলে তাদের অনেকেই বিলীন হয়ে যাবে। তাই সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারীদের নিজেরা মিলে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে নীতি সহায়তা ও অন্যান্য সাপোর্টের জন্য চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিয়ে টিকে থাকার সংগ্রাম করতে হবে। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলার বাঙালির সামর্থ্য কল্পনাতীত। তাই করোনার ক্ষেত্রেও সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পর্যটন খাত ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।
মো. আব্দুল হামিদ: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও ‘বিশ্ব-প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পর্যটন’ বইয়ের লেখক