সীমান্ত হত্যা ও পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ নিয়ে সংসদীয় কমিটির উষ্মা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা এবং হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় উষ্মা প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

চলতি মাসের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে দুটি বিষয় জোরালোভাবে উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। গতকাল রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বণিক বার্তাকে বলেন, আগামী ২৯ নভেম্বর জেসিসির মিটিং। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। কিন্তু কিছু কর্মকাণ্ডের জন্য সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। এত কষ্ট করে সম্পর্ক উন্নয়ন করি আর ছোট্ট পেঁয়াজের জন্য সম্পর্ক নষ্ট হয়। এর কারণে জনমনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। হঠাৎ বন্ধ করে দিয়ে পরে দুঃখ প্রকাশ এসব কোন ধরনের আচরণ।

জেসিসির বৈঠকে সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।

বৈঠক শেষে ফারুক খান দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সম্মেলনের কথা তুলে ধরে বলেন, গত দুইদিন ভালো মিটিং হয়েছে। রকম ভালো মিটিং দশটা দেখেছি। দশটা মিটিংয়ে বলা হয়েছে সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে। কিন্তু হয়নি। জোর দিয়ে এগুলো বলতে হবে। আমরা এগুলো বন্ধ চাই। জোরেশোরে এটা বলতে হবে।

বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ নিকট প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সম্পর্ক উন্নয়নের প্রক্রিয়া জোরদারে করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাণিজ্য সম্প্রসারণে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের নিয়মিত বৈঠক আয়োজন, স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ শীর্ষ পর্যায়ে মতামত বিনিময় করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে জানানো হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। শিগগিরই খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।

বৈঠকে জানানো হয়, বন্ধুপ্রতিম যেসব দেশ কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে, সেসব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের দেশ পেয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো আশ্বস্ত করেছে। বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোয় বাংলাদেশী মিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। এছাড়া আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত ওষুধ প্রস্তুতকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার পরীক্ষা চালিয়ে সফলতা অর্জন করে, তবে তাদের থেকেও সংগ্রহ করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন