‘কুকুর অপসারণের সিদ্ধান্ত অবৈজ্ঞানিক ও জনস্বাস্থ্যের জন্য সাংঘর্ষিক’

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জলাতঙ্ক টিকা বন্ধ্যত্বকরণ প্রকল্প ঠিকমতো না চালিয়ে ঢাকা থেকে হাজার হাজার কুকুর শহরের বাইরে মাতুয়াইলের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্টে অপসারণ করবে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএসসিসি বিভিন্ন এলাকা থেকে বেআইনিভাবে পথকুকুরদের অজ্ঞান করে নিয়ে যাচ্ছে।

গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে করপোরেশনের প্রধান ভেটেরিনারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একজন প্রাণী চিকিৎসক হিসেবে তিনিও মনে করেন, কুকুরের টিকাদান এবং জন্মনিয়ন্ত্রণই সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারে। অপসারণ একটি ভুল প্রক্রিয়া।

অভয়ারণ্য বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এবং পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের কয়েকজন কর্মকর্তা মাতুয়াইলের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার স্থানটি পরিদর্শন করেন। সময় তারা বেশকিছু ডান কান কাটা এবং পোষ মানা কুকুর দেখতে পান। কান কাটা কুকুরের অর্থ হলো, সেই কুকুরগুলো বন্ধ্যা এবং জলাতঙ্ক নিরোধী টিকা দেয়া। একই সঙ্গে কুকুরগুলোর আচরণ পোষ মানা কুকুরের মতোই, যা প্রমাণ করে এরা মোটেও বেওয়ারিশ অথবা হিংস্র নয়। এছাড়া স্থানটিতে স্থানীয়ভাবে আগে থেকেই বহু কুকুর রয়েছে। এখানে কাজ করছেন সিটি করপোরেশনের শতাধিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মী। স্থানটিতে নতুন করে অন্য এলাকা থেকে কুকুর এনে ফেলে দেয়া হলে শত শত কুকুরের মাঝে খাদ্য সংকট নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হবে, ফলে এলাকা এবং এখানকার কর্মীরা জলাতঙ্কের হুমকিতে পড়বেন। অর্থাৎ দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বেআইনি উদ্যোগ একই সঙ্গে অবৈজ্ঞানিক জনস্বাস্থ্যের জন্য সাংঘর্ষিক।

উল্লিখিত ভূমিকার বিরূপ প্রতিক্রিয়া তুলে ধরতে ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয় প্রাণিকল্যাণ পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য, বেলা, রেবিস ইন এশিয়া ফাউন্ডেশন, ফাউন্ডেশন, স্টেলা ফাউন্ডেশন এবং কেয়ার ফর পজ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন