গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় গতকাল চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও দেশের উভয় পুঁজিবাজারেই সূচক কমেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৩১ শতাংশ কমে ৫ হাজার ১০০ পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স কমেছে দশমিক ৩৮ শতাংশ।
গতকাল দিনের লেনদেনের শুরুটা অবশ্য বেশ ইতিবাচক ছিল। পৌনে ১ ঘণ্টার মধ্যে ডিএসইএক্স ৫ হাজার ১২৪ পয়েন্টে উঠে যায়। কিন্তু এর পরই পতনের শুরু। শেষ পর্যন্ত ৫ হাজার ৮৯ পয়েন্টে থেকে দিনের লেনদেন শেষ করেছে ডিএসইএক্স। বৃহস্পতিবার দিনশেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ১০৪ পয়েন্টে। অর্থাৎ গতকাল সূচক কমেছে ১৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৩১ শতাংশ।
প্রধান সূচকের পাশাপাশি গতকাল প্রায় ১০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ কমেছে ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস। দিনশেষে ১ হাজার ১৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে সূচকটি, আগের দিনশেষে যা ছিল ১ হাজার ১৬৩ পয়েন্টে। এদিকে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে প্রায় ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে গতকাল লেনদেন শেষে ১ হাজার ৭৫২ পয়েন্টে অবস্থান করেছে, আগের কার্যদিবস শেষে যা ছিল ১ হাজার ৭৬১ পয়েন্ট।
খাতভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে মোট লেনদেনের ২৫ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সাধারণ বীমা খাত।
দেশের আরেক শেয়ারবাজার সিএসইতে গতকাল প্রধান সূচক সিএসসিএক্স দিনের ব্যবধানে প্রায় ৩৪ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৭২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ৮ হাজার ৭৫৭ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৮৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১১টির ও কমেছে ১৪৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩১টির বাজারদর।
গতকাল দেশের উভয় পুঁজিবাজারেই টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে। ডিএসইতে গতকাল মোট ১ হাজার ১০৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অন্যদিকে সিএসইতে গতকাল ৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২৭ কোটি ৮ লাখ টাকা।
