ফেলুদা এবার কভিড শনাক্ত করবে!

বণিক বার্তা ডেস্ক

না, ফেলুদা এবার গোয়েন্দা হিসেবে নন, হাজির হয়েছেন টেস্টিং প্রযুক্তি হিসেবে। ফেলুদা এবার কভিড-১৯ শনাক্ত করবে।

দ্য ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া গতকাল ফেলুদা নামের কভিড পরীক্ষা পদ্ধতিটির বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। ডাকনাম ফেলুদা হলেও এর আনুষ্ঠানিক পরিচিতি হচ্ছে টাটা সিআরআইএসপিআর (ক্লাস্টারড রেগুলারলি ইন্টারস্পেসড শর্ট প্যালিনড্রমিক রিপিটস) কভিড-১৯ টেস্ট। কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) গতকাল তথ্য জানিয়েছে।

সিএসআইআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা পুরোপুরি স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এতে কাটিং-এজ সিআরআইএসপিআর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা সার্স-কোভ-টু ভাইরাসের জিনোমিক সিকোয়েন্স শনাক্ত করতে পারে।

টাটা সিআরআইএসপিআর টেস্ট প্রচলিত আরটি-পিসিআর টেস্টের মতো নিখুঁত, নির্ভুল। অন্যদিকে এতে সময় লাগবে কম, যন্ত্রপাতি সস্তা এবং পরীক্ষায় মানুষকে তেমন শারীরিক কষ্ট ভোগ করতে হয় না।

সিআরআইএসপিআর রোগ শনাক্তকরণের একটি জিনোম এডিটিং প্রযুক্তি। এটি উদ্ভাবন করেছে ভারতের সিএসআইআর-আইজিআইবি (ইনস্টিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি)

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, টাটা সিআরআইএসপিআর (ক্লাস্টারড রেগুলারলি ইন্টারস্পেসড শর্ট প্যালিনড্রমিক রিপিটস) কভিড-১৯ টেস্ট বা ফেলুদা ডিসিজিআই থেকে আজ বাণিজ্যিক অনুমোদন পেয়েছে। পরীক্ষা ৯৬ শতাংশ নির্ভুল এবং নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তে এর নির্দিষ্ট ক্ষমতা ৯৮ শতাংশ।

টাটা সিআরআইএসপিআর কভিড-১৯ শনাক্ত করতে বিশ্বে প্রথমবারের মতো বিশেষভাবে অভিযোজিত সিএএসনাইন প্রোটিন ব্যবহার করা হয়েছে। আর প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যতে আরো বিভিন্ন ধরনের জীবাণু শনাক্ত করা যাবে।

এনডিটিভি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন