ওরাকল-টিকটক চুক্তিতে ট্রাম্পের সমর্থন

বণিক বার্তা ডেস্ক

চীনভিত্তিক বাইটডান্স নিয়ন্ত্রিত শর্ট ভিডিও তৈরির সোস্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটকের মার্কিন কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ নিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ওরাকল করপোরেশন। ওরাকলের সঙ্গে চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখতে পারবে টিকটক। ওরাকল-টিকটকের চুক্তিতে সমর্থন রয়েছে বলে মতামত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসি।

গত আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধে এক নির্বাহী আদেশে সই করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম স্থানীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়। শুরুতে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট এবং পরে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার অ্যাপটির যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম ক্রয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।

অবশ্য মাইক্রোসফট টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম ক্রয়ে আগ্রহ দেখালে সম্ভাব্য চুক্তিমূল্যের একটি হিস্যা দাবি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যাক ডরসির সঙ্গেও ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। টুইটারের টিকটক অধিগ্রহণ প্রস্তাবে নীরব ছিলেন ট্রাম্প। তবে ওরাকল করপোরেশনের চেয়ারম্যান ল্যারি এলিসন ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক এবং গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের জন্য তহবিল সংগ্রহের একটি কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন এলিসন। যে কারণে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রমের সম্ভাব্য ক্রেতা হিসেবে ওরাকলকে উপযুক্ত বলে মত দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওরাকল-টিকটকের চুক্তির পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, চুক্তি তার আশীর্বাদপুস্ট। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে টিকটক।

ওরাকল শুধু টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম নয়; একই সঙ্গে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের কার্যক্রমও কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্য চূড়ান্ত চুক্তিটির শর্ত কিংবা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের না অন্য তিনটি বাজারের কার্যক্রমসহ ক্রয়ের চুক্তি হয়েছে তা স্পষ্ট করা হয়নি। অধিগ্রহণ বিষয়ে ওরাকল টিকটক অ্যাপের কয়েকটি মার্কিন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছে।

টিকটক বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে চীন। বেইজিংয়ের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটকের স্থানীয় কার্যক্রম নানা অজুহাত অপকৌশলে বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন, যা কোনো পরিস্থিতিতেই মেনে নেয়া হবে না। বৈশ্বিক প্রযুক্তি শিল্পে প্রতিযোগিতা নয়; একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকা ফার্স্ট নীতি অনুসরণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত হেনস্তার শিকার হচ্ছে। চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রগতি থামাতে একের পর এক অন্যায় অভিযোগ করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন