দুই দেশে ২২৮ কোটি টাকা পাচার করেছেন সম্রাট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় প্রায় ২২৮ কোটি টাকা পাচার করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে অর্থ পাচারের এই তথ্যর সত্যতা মিলেছে। 

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সম্রাট সিঙ্গাপুরে প্রায় ৩ কোটি ৬৫ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার পাচার করেছেন।  বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ২২৭ কোটি টাকারও বেশি। আর এ সময়ে মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন ২ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত।  প্রতি রিঙ্গিত ২০ টাকা হিসাবে এই অর্থের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকা।

ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে সম্রাটের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সম্রাটের নামে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের হদিস পাওয়া গেছে। 

মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে চলতি বছরের ২৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের তদন্ত দল। আর ২৭ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চৌধুরীকে। 

উল্লেখ‌্য, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে আটক করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। ওই বছরের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। 

দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত জানান, দুদকের তদন্তে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা পাচারের প্রমাণ মিলেছে। এখনো তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন