আরো ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেবে ভারত: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে পেঁয়াজের কোন সঙ্কট নেই উল্লেখ প্রয়োজনের বেশি না কেনার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। পেঁয়াজ নিয়ে ‘কোন সমস্যা’ হবে না বলেও জানান তিনি। আজ রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ‘ঘরে বসে স্বস্থির পেঁয়াজ’ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলেও বাংলাদেশে আরো ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেবে বলেও জানান তিনি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ই-কমার্সের আয়োজনে জুম প্লাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন টিসিবি’র চেয়ারমম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব(আমদানি) হাফিজুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক এবং ই-কমার্স প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, ই-কমার্সের প্রেসিডেন্ট শমি কায়সার, চালডাল কর্মসূচির পরিচালক ইসরাত জাহান নাবিলা এবং নাদিয়া বিনতে আমীন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি তার বক্তব্যে বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে বড় ধরনের আমদানি ও সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যারা ট্রাক সেল থেকে কিনতে পাচ্ছেন না, তাদের জন্য টিসিবি ই-কমার্সের সহযোগিতায় সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজ বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য পণ্যের মতো এখন সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজও ক্রেতাগণ বাসায় বসে কিনতে পারবেন। ই-কমার্সের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রয়ের ধারণাটি নতুন, এ ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আসতে পারে। আমরা থেমে থাকবো না, সমস্যার সমাধান করে এগিয়ে যাবো।

পেঁয়াজ নিয়ে দুশ্চিন্তার ‘কোন কারণ নেই’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের অভ্যন্তরে দেশী ও আমদানিকৃত পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। ভারত ইতোমধ্যে ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি প্রদান করেছে, এগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু হয়েছে। আশা করা যায় আরো ১০ হাজার মেট্রিক টন পেয়াজ রপ্তানির অনুমতি প্রদান করবে ভারত। মায়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়ে গেছে। এছাড়াও অনেক দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। দেশে পেঁয়াজের কোন সংকট হবে না। আমরা অস্থির না হয়ে শুধু প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ ক্রয় করলে কোন সমস্যা হবে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু ঢাকা ও চট্রগ্রামে এ পেঁয়াজ বিক্রয় শুরু করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ই-কমার্সের আওতায় দেশের সকল স্থানে টিসিবি সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় করবে। এ জন্য ক্রেতা-বিক্রেতা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশে ই-কমার্স ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করেতে সক্ষম হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতাদের ই-কমার্সে পেঁয়াজ পেতে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। প্রাথমিকভাবে দেশের ৫টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৬ টাকা মূল্যে ৩ কেজি করে পেঁয়াজ বিক্রয় করা হবে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও পেঁয়াজের পরিমাণ বাড়ানো হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন