ফের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ, ছাড়কৃত ২৪৬ টনের বড় অংশ পচা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

রফতানি পাঁচদিন বন্ধ রাখার পর গত ১৩ সেপ্টেম্বরে টেন্ডারকৃত পেঁয়াজ ছাড় করার একদিন পরেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি ফের বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। নতুন করে নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

এদিকে রফতানি বন্ধের ঘোষণার কারণে ট্রাক বোঝাই পেঁয়াজ ভারত অংশে কয়েকদিন আটকে থাকার কারণে পচন ধরেছে। ফলে আমদানিকৃত পেঁয়াজের অনেকাংশই ফেলে দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। 

তবে বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়ায় ভালোমানের কিছু পেঁয়াজ গতকাল শনিবারের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা কমে ৪০/৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আজ রোববার বেলা ৩টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশ করেনি।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা ডলার দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি করেছি। কিন্তু এখন পেঁয়াজের যে অবস্থা মানুষ বিনামূল্যেও নিতে চাচ্ছে না বাধ্য হয়ে ফেলে দিতে হচ্ছে। গতকাল বন্দর দিয়ে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকছে, এর মধ্যে ৬ ট্রাক পেঁয়াজ আমাদের ঘরে। কিন্তু আমদানি করা এসব পেঁয়াজের বেশিরভাগই পচে নষ্ট হয়ে পানি বের হচ্ছে। 

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, ভারত সরকার গত সোমবার হঠাৎ করে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পরে শুক্রবার একটি নোটিশ জারি করে গত রোববারের টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজগুলো রফতানি করার কথা জানায়। সে মোতাবেক অনুমতি দেয়ায় গতকাল শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মাত্র ১১টি ট্রাকে ২৪৬ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করে। যে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ রফতানি করেছে তার অধিকাংশ পেঁয়াজই পচে পানি ঝরছে। আমদানিকারকরা এসব পেঁয়াজ নিয়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।।

তিনি আরো বলেন, আমাদের এখনও দুইশর বেশি পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এছাড়াও যে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আমাদের এলসি দেয়া রয়েছে তার বিষয়ে তারা কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন