প্রাকৃতিক গ্যাস

চীনে করোনায় কমে আসছে চাহিদা প্রবৃদ্ধি

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর অর্থনীতির পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে চীন। দেশটিতে প্রতি বছর বাড়ছে জ্বালানি পণ্যটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা। চাহিদা পূরণে নিজস্ব কূপগুলো থেকে উত্তোলন বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে চীন। তবে চলতি বছর নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীতে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে চীনে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা। এর জের ধরে মন্দার মুখে না পড়লেও ২০২০ সালে দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রবৃদ্ধি আগের তুলনায় কমে আসছে। চীনের সরকারি প্রতিবেদনে সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স সিনহুয়া।

চীনের ন্যাশনাল এনার্জি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের জ্বালানি তেল গ্যাস বিভাগের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর চীনে প্রাকৃতিক গ্যাসের সম্মিলিত চাহিদা দাঁড়াতে পারে ৩২ হাজার কোটি ঘনমিটারে। এর মধ্য দিয়ে ২০২০ সালে চীনে প্রাকৃতিক গ্যাসের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে দশমিক শতাংশে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটাই দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির সর্বনিম্ন চাহিদা প্রবৃদ্ধি।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বছরের শুরু থেকে করোনা সংক্রমণ এড়াতে লকডাউন চলায় চীনা পরিবহন খাত কার্যত স্থবির ছিল। সীমিত হয়ে এসেছিল আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। গতি হারিয়েছিল চীনের সামগ্রিক অর্থনীতি। এর জের ধরে চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা প্রবৃদ্ধি দশমিক শতাংশে নেমে এসেছে। মূলত কারণে বছর শেষে চীনে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা প্রবৃদ্ধি কমার সম্ভাবনা দেখছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সমাজ, অর্থনীতি, জ্বালানিসব জায়গায় করোনা মহামারী নেতিবাচক প্রভাব রেখেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়ে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর অর্থনীতি গড়ার প্রক্রিয়াও গতি হারিয়েছে। মূলত কারণে চলতি বছর চীনে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা প্রবৃদ্ধি আগের তুলনায় কমে আসছে।

তবে চাহিদা প্রবৃদ্ধি কমে এলেও ২০২০ সালে চীনে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন আগের তুলনায় বাড়তে পারে। দেশটির ন্যাশনাল এনার্জি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর দেশটিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের সম্মিলিত উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১৮ হাজার ৯০০ কোটি ঘনমিটারে। এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির উত্তোলন বাড়তে পারে শতাংশ। চলতি বছর চীনা আমদানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সব মিলিয়ে ১৪ হাজার কোটি ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে পারেন বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে দেশটিতে হাজার কোটি ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি হতে পারে পাইপলাইনযোগে, গ্যাসীয় অবস্থায়। জ্বালানি পণ্যটির বাকি হাজার কোটি ঘনমিটার আমদানি হতে পারে তরল অবস্থায় বা এলএনজি হিসেবে।

এদিকে কাতার থেকে বছরে ১০ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে চুক্তি সই করেছে চীনা জ্বালানি প্রতিষ্ঠান সিনোপেক করপোরেশন। কাতারের জ্বালানি প্রতিষ্ঠান কাতারগ্যাসের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ২০২৩ সাল থেকে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তী ১০ বছর চুক্তি কার্যকর থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন