‘ওয়াইপিএফ গভর্ন্যান্স অ্যাপ্রেন্টিসশিপ’

রাষ্ট্র পরিচালনায় তরুণদের ক্ষমতায়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেধাবী তরুণদের সম্পৃক্ত করতে পারলে নীতিনির্ধারণের ঘাটতি অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। তরুণরা যেন তাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানের সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারে সে লক্ষ্যেই ওয়াইপিএফ গভর্ন্যান্স অ্যাপ্রেন্টিসশিপ-এর যাত্রা হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। যেখানে বিভিন্নভাবে ইয়ুথ পলিসি ফোরামের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের সঙ্গে তরুণ গবেষকদের জ্ঞানের বিনিময় ঘটবে। তরুণদের মাধ্যমে পলিসি বাস্তবায়নের দারুণ এক অগ্রযাত্রা এটি। ওয়াইপিএফ গভর্ন্যান্স অ্যাপ্রেন্টিসশিপের মিডিয়া পার্টনার বণিক বার্তা।

জনগণ, নীতি, উন্নতি মূলমন্ত্র ধারণ করে ২০১৮ সালে যাত্রা করে ইয়ুথ পলিসি ফোরাম গণমুখী নীতি নির্ধারণের গুরুত্ব নিয়ে চিন্তা করেন এমন সব তরুণ শিক্ষার্থী পেশাজীবীরা প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পলিসি এবং পলিসি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা শুরু করেন, যেখান থেকে ইয়ুথ পলিসি ফোরাম এক পর্যায়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য পলিসি আলোচনার সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত তরুণ পেশাজীবীরা এখানে পলিসি আলোচনায় নিয়মিত অংশ নেন, যেখানে তাদের সঙ্গে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করা অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা যেমন সংসদ সদস্য, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা, আমলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অংশ নিয়ে থাকেন। তরুণরা কীভাবে বাস্তব জীবনের পলিসি চ্যালেঞ্জগুলোকে তাদের চিন্তাভাবনার মধ্যে সন্নিহিত করে আরো বাস্তবমুখী সমাধান নিয়ে আসতে পারেন, সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছে প্ল্যাটফর্ম।

ওয়াইপিএফ গভর্ন্যান্স অ্যাপ্রেন্টিসশিপ আয়োজনটি এমনভাবে সাজানো, যেখানে ওয়াইপিএফ থেকে নির্বাচিত গবেষক দল এবং নীতিনির্ধারকদের মাঝে জ্ঞানের বিনিময় ঘটবে। আয়োজনের আওতায় তরুণ গবেষকদের একটি দলের রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা বা ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি গবেষণার সুযোগ থাকবে। উদ্যোগের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নীতিনির্ধারকরা তাদের প্রয়োজনীয় যেকোনো বিষয়ে গবেষণালব্ধ তথ্য পাবেন।

নির্বাচিত নীতিনির্ধারকরা তরুণ গবেষকদের বাংলাদেশের সংসদীয় কার্যক্রম এবং পরিচালনা বুঝতে সহায়তা করবেন, সংসদীয় কমিটির এজেন্ডা অনুসারে গবেষণা সম্পাদন করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন, গবেষক দলের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া জানাবেন।

১৮ সেপ্টেম্বর ওয়াইপিএফ গভর্ন্যান্স অ্যাপ্রেন্টিসশিপ-এর ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, ওয়াসেকা আয়েশা খান এমপি, মোকাব্বির খান এমপি, আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটওয়ারি এমপি, নাহিম রাজ্জাক এমপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) তাবিথ আওয়াল ইশরাক হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ওয়াইপিএফের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আবির হাসান নিলয়, ওয়াইপিএফের সদস্য মাসতুরা তাসনিম, আমের মোসতাক আহমেদ, ইয়াসিন আহমেদ, চৌধুরি আলবাব কাদির আবির প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ইয়ুথ পলিসি ফোরামের সম্মানিত উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদ . আখতার মাহমুদ।

আয়োজনকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, উন্নয়নকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়া উচিত আর এজন্য এনজিও, নাগরিক সমাজ এবং সরকারের মধ্যে সমন্বয় জরুরি। নীতিমালা প্রণয়নে বাংলাদেশ যথেষ্ট এগিয়ে আছে, কিন্তু আমাদের এসব নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়নে মনোযোগ দিতে হবে।

তরুণদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নীতিনির্ধারকরা নীতিমালাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি এর উন্নয়নেও কাজ করতে পারবেন। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্র পরিচালনায় তরুণদের ক্ষমতায়ন আয়োজনের মূল উপজীব্য।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন