কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেছেন, হাইব্রিড জাতের আবাদ বাড়াতে হবে। এখন হাইব্রিড ধানের আবাদ এলাকা মাত্র ১০ লাখ হেক্টর। এটিকে ১২ লাখ হেক্টরে উন্নীত করা কঠিন কাজ নয়। ভবিষ্যতে এটি আরো বাড়াতে হবে। মাঠ পর্যায়ে বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করবে কৃষি মন্ত্রণালয়। বর্তমান খাদ্যনিরাপত্তা টেকসই করার জন্য এ অঞ্চলের পতিত জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ‘ঢাকা অঞ্চলের বর্তমান রোপা আমন আবাদ পরিস্থিতি এবং আগামী বোরো ও রবি মৌসুমে প্রস্তুতি’
বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষ বাড়ছে, জমি কমছে। বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য জোগান দিতে হলে নতুন জাত, ভালো বীজ এবং উন্নত প্রযুক্তি দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে হবে। ফলন বাড়াতে সমলয়ে চাষাবাদ এখন সময়ের দাবি। এজন্য ৬৪ জেলায় সমলয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে হবে। এজন্য যত রকমের সহযোগিতা দরকার সেটি কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে করা হবে। ব্রি-ডিএই অঞ্চলভিত্তিক কর্মশালাগুলো অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ব্রির ন্যায় বারি, বিনা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উচিত অন্য ফসল প্রযুক্তি নিয়েও অঞ্চলভিত্তিক কর্মশালার আয়োজন করা। এতে বিএডিসি-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের লিংকেজ আরো জোরদার হবে।
কৃষি সচিব আরো বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান সৃজনের জন্য সরকারি সহযোগিতার অর্থ সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। সরকারি প্রণোদনা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণের অর্থ সঠিকভাবে কৃষকদের মাঝে বিতরণের জন্য তিনি গ্রুপভিত্তিক পর্যায়ক্রম পদ্ধতি অনুসরণের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, করোনাকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেভাবে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে, তাতে সবার কাছে এ মন্ত্রণালয়ের সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কৃতিত্ব আমাদের সবার, বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ের সম্প্রসারণ কর্মীদের।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রি পরিচালক (গবেষণা) ড. তমাল লতা আদিত্য, অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা, কৃষিবিদ ড. মো. আসাদুল্লাহ, পরিচালক (সরেজমিন উইং), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ড. কৃষ্ণ পদ হালদার, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা), ব্রি।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হুমায়ুন কবীর এবং কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষণ সরকার।