যশোর সদর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন

আওয়ামী লীগে প্রার্থীর ছড়াছড়ি বিএনপির মাত্র চারজন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি যশোর

যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন আগামী ২০ অক্টোবর। অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর ছড়াছড়ি হলেও প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না যশোর জেলা বিএনপি। বিএনপির প্রার্থীদের আবেদনের শেষ দিন ছিল গত শুক্রবার। কিন্তু মাত্র একজন প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবু মুরাদ আবেদন করেছেন। যে কারণে যোগ্য প্রার্থী পেতে জেলা বিএনপি গতকাল পর্যন্ত আবেদনের সময় বৃদ্ধি করে। এদিন নতুন করে আরো তিন প্রার্থী আবেদন করেন।

গতকাল আবেদন করা বিএনপি প্রার্থীরা হলেন যশোর থানা বিএনপির সভাপতি নুরুন নবী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর নুর ইমাম মহিলা দলের নেত্রী অ্যাডভোকেট মওলুদা পারভীন।

একাধিক বিএনপি নেতা জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরপর দুটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বিএনপি অংশ নিলেও ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে জয়লাভ করানো হয়েছিল। যে কারণে এবারো এর ব্যতিক্রম হবে না। এতে অনাগ্রহ বিএনপি নেতাদের। তাদের দাবি, শুধু শুধু টাকা নষ্ট আর পরিশ্রম করে কী লাভ।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মুন্সী মহিউদ্দিন জানান, দলীয় মনোনয়ন পেতে জেলা আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের ১৯ জন নেতা জেলা আওয়ামী লীগের কাছে আবেদন করেছেন। এসব আবেদন কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে নির্ধারণ করা হবে কে পাবে নৌকার প্রতীক।

১৪ সেপ্টেম্বর যশোর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ২৬ সেপ্টেম্বর দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। অক্টোবর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর ২০ অক্টোবর ভোটগ্রহণ করা হবে।

যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু জানান, বর্তমান সরকারের আমলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। গতবারের সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন মানুষ দেখেছে। কীভাবে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে জয়ী করা হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতায় বিএনপি থেকে প্রার্থীরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন কম। শ্রম আর টাকার অপচয় কেউ জেনেশুনে করতে চাইছেন না।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছেন জেলা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন, মীর জহুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি হায়দার গণি খান পলাশ, আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক হ্যাপি শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু, আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি সৈয়দ মেহেদী হাসান, জেলা শ্রমিকলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক শরীফ আব্দুল্লা হেল মুকিত, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এএসএম হুমায়ুন কবীর কবু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরজাহান ইসলাম নীরা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য মেহেদী হাসান মিন্টু, আওয়ামী লীগনেতা দেলোয়ার হোসেন দিপু কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তোহা।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন জানান, দলের কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড যশোর সদর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন। বিএনপির ভোট কারচুপির অভিযোগ সত্য নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন