দিল্লির এক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক অত্যন্ত গোপনীয় ও স্পর্শকাতর সামরিক নথিপত্র টাকার বিনিময়ে এক চীনা গুপ্তচরের হাতে তুলে দিয়েছেন। সেই সাংবাদিক, চীনা গুপ্তচর ও তার নেপালি সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক রাজীব শর্মা প্রতিটি নথির জন্য ১ হাজার ডলার করে নিয়েছেন। দেড় বছরে তাকে এভাবে কয়েক ধাপে ৩০ লাখ রুপি দেয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার পুলিশের বিশেষ সেল তাদের আটক করেছে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
অবশ্য রাজীব শর্মাকে আটক করা হয় গত সোমবার। তাকে জিজ্ঞাসাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যের সূত্র ধরেই বাকি দুজনকে আটক করা হয়। গত মঙ্গলবার দিল্লির একটি আদালতে তোলা হলে বিচারক তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দিল্লি পুলিশ শনিবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘স্পর্শকাতর সরকারি তথ্য’ পাওয়ার বিনিময়ে রাজীবকে বিপুল অর্থ দিয়েছিলেন আট চীনা নারী এবং তার নেপালি সহযোগী। তাদের কাছ থেকে একাধিক ল্যাপটপ, মোবাইল এবং অন্যান্য আপত্তিকর সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’-এ মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (বিশেষ সেল) সঞ্জীবকুমার যাদব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাজীব উত্তর-পশ্চিম দিল্লির পীতমপুরা এলাকার বাসিন্দা। প্রতিরক্ষা বিষয়ক গোপনীয় কিছু নথি আমরা উদ্ধার করেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে অন্য তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বছর দু’য়েক আগেও ভারতের রাজধানীতে চীনা গুপ্তচর চক্রের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছিল এক চীনা নাগরিকসহ কয়েকজনকে।
ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তখন চার্লি নামে ধৃত চীনা নাগরিক হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় নির্বাসিত তিব্বতী সরকারের দফতরের ওপর নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি, তদন্তে জানা গিয়েছিল, অরুণাচল প্রদেশ-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নানা রাজ্যেও তার যাতায়াত ছিল।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইমেইল হ্যাক হয়ে সরকারি তথ্য খোয়া যাওয়ার পেছনেও চীনের হাত থাকতে পারে বলে মনে করছে ভারত।
সূত্র: এনডিটিভি