বিএসডিইডির তৃতীয় সংস্করণ

জলবায়ুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন পরিকল্পনা করা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিকস স্টাডি সেন্টারের আয়োজনে বাংলাদেশ স্টুডেন্টস ডাইজেস্ট অন ইকোনমিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর তৃতীয় সংস্করণের উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়ে গেল। গতকাল সকালের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক . অতনু রাব্বানী বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের চেয়ারপারসন পিপিআরসির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান . হোসেন জিল্লুুর রহমান। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিল বণিক বার্তা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্টুডেন্টস ডাইজেস্ট অন ইকোনমিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএসডিইডি) একটি স্টুডেন্ট জার্নাল, যা স্নাতক স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের গবেষণাপত্র প্রকাশের একটি সুযোগ তৈরি করে দেয়। ২০১৮ সাল থেকে ইকোনমিকস স্টাডি সেন্টার এটি নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এর তৃতীয় পর্ব উন্মোচিত হলো।

প্রতি বছরের মতো এবারো দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গবেষণা প্রবন্ধ জমা দেন এবং বিভিন্ন স্তরে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ছয়টি প্রবন্ধ প্রকাশের জন্য নির্বাচিত হয়। এবারের আরেকটি বাড়তি পাওনা বিদেশী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ। অনুষ্ঠানে প্রকাশিত প্রবন্ধের লেখকরা তাদের গবেষণার ফলাফল পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থিত অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের টেকসই সমাধান, ঢাকায় বায়ুর গুণগত মান, স্টেম শিক্ষা, বাংলাদেশের জলবায়ুনির্ভর উন্নয়ন পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য খাতের খরচ এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাড়তি মজুরির প্রভাব রকম বিস্তৃত বিষয়ের ওপর গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা। প্রথম বক্তার প্রেজেন্টেশনে উঠে আসে কী করে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করে কার্বনের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। দ্বিতীয় বক্তা বায়ুদূষণের সঙ্গে চলমান কভিড মহামারীর ভয়াবহতা কী করে যানবাহন, বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে বিষাক্ত ধোঁয়া নিঃসরণ ইত্যাদি কমিয়ে ঢাকার বায়ুকে আরো উন্নত করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেন। তৃতীয় বক্তা স্টেম শিক্ষা বা বিজ্ঞান শিক্ষার বিভিন্ন দিকে নারীদের তুলনামূলক কম অংশগ্রহণ এর পেছনে পরিবারের সমর্থনের অভাবের ওপর জোর দেন। উন্নয়ন পরিকল্পনার গবেষণায় উঠে আসে কীভাবে বাংলাদেশের জলবায়ুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজ পকেট থেকে খরচের অসামঞ্জস্যতা এবং খাবার পানির ব্যাপক অভাবই উঠে আসে পঞ্চম উপস্থাপকের কথায়।

শেষ বক্তা শুরুতেই বাড়তি মজুরি প্রদানের মাধ্যমে নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ বাড়ানো যায় কিনা সেটি নির্ধারণ করতে গিয়ে বলেন, শুধু বাড়তি মজুরিই কর্মহীন নারীদের শ্রমবাজারে আনতে পারবে না বরং নারীদের সুরক্ষা এবং অন্যান্য বিষয়ও নজরে রাখতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন